মামলা প্রত্যাহারের দাবি কুবি শিক্ষার্থীদের

কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় আইসিটি বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মেহেদীর হাসানের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও সনদ বাজেয়াপ্ত না করার দাবি জানান।

এদিকে মানববন্ধনের পাশাপাশি মামলা প্রত্যাহার ও সনদ বাজেয়াপ্ত না করার জন্যে চার সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর গণ স্বাক্ষরের কপি শিক্ষক সমিতির নিকট জমা দেয়া হয়।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, ২১শে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটকটি প্রদর্শন করছিলেন থিয়েটার। সময় স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে কিছু সময় পর নাটকটি বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে থিয়েটার কর্মীদের মাঝে এক ধরণের অসন্তোষ দেখা দেয়।

এ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত থিয়েটারের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হঠকারী সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছিলেন না বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গ্রুপে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের জড়িয়ে একটি পোস্ট দেন।পরবর্তীতে এমন পোস্টের জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নিকট ক্ষমা চান।তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের জড়িয়ে বাজে পোস্ট করার কারণে আইসিটি ধারা ২৯ ও সাধারণ ধারা ৩১ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যার মামলা নং ৩১ এবং পাশাপাশি সকল সনদপত্রও স্হগিত করেন তার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: অাবু তাহের বলেন,একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের নিয়ে এসব কথা বলতে পারে জানা ছিল না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন,সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি মামলা প্রত্যাহারের জন্যে অাবেদন করে তাহলে প্রেক্ষিত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি মনে করে ক্ষমা করার মতো তাহলে তা ভেবে দেখবে।

এদিকে মামলা প্রত্যাহার ও সনদপত্র স্হগিত না করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় অামি নিজেও লজ্জিত। এমন মন্তব্য করা একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মোটেও প্রত্যাশা করিনি।সে পুনরায় ক্ষমা চেয়েছে। তার ভুল বুঝার প্রেক্ষিতে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি প্রশাসন ইতিবাচক ভাবে দেখবে বলে অামার বিশ্বাস।