মন্ত্রণালয়ে জ্ঞানসমৃদ্ধ সচিব প্রয়োজন, বিসিএস ক্যাডাররাই সে জায়গা পূরণ করবে

নাজমুল হুদা:
 

বাংলাদেশে প্রতিবছর শ’ খানেক ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার বিসিএস ক্যাডার হলে ক্ষতির পাশাপাশি লাভও রয়েছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব, সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপসচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব এবং সহকারী সচিব সহ অন্যান্য পদে এক ঝাঁক বিসিএস ক্যাডার নিয়োগ পায়। কয়েকটি মন্ত্রণালয় ব্যতীত প্রায় সবগুলো মন্ত্রণালয় যেমন- গণপূর্ত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ, সড়ক, রেলওয়ে, আইসিটিসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে টেকনিক্যাল জ্ঞানসমৃদ্ধ সচিব (উচ্চ থেকে নিম্ন পদ অবধি) দরকার আছে।

 
বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করা ইঞ্জিনিয়ারগণ টেকনিক্যাল জ্ঞানসমৃদ্ধ হয়ে থাকেন। তাই তাদের অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দিলে মন্ত্রণালয়গুলো উপকৃতই হবে। অপরদিকে ডাক্তারগণ বিসিএস ক্যাডার (সাধারণ) হিসেবে নিয়োগ পেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বেশ উপকৃত হবে।
যদি তাদের অর্জিত স্পেসিফিক জ্ঞান অনুযায়ী স্পেসিফিক বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়। কেবলমাত্র সাধারণ ক্যাডার থেকেই সাচিবিক পদসমূহে নিয়োগ হয় বা মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পায়, প্রফেশনাল ক্যাডার থেকে মন্ত্রণালয়ে (সচিব) নিয়োগ দেওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে শুধু সাধারণ ক্যাডারে পাঁচ শ’র কম বা বেশি পদে নিয়োগে একটু পরিবর্তন আনলে টেকনিক্যাল এবং নন টেকনিক্যাল জ্ঞানসমৃদ্ধ (উভয়পক্ষই) প্রার্থী বা ক্যান্ডিডেট নিয়োগ দেওয়া সম্ভব।
 
বিসিএস পরীক্ষায় সাধারণ ক্যাডার নিয়োগের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তারের প্রয়োজনীয়তা মন্ত্রণালয়গুলো থেকে আগেই জেনে নিয়ে কোটাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। তাতে প্রয়োজনের বেশি ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার সাধারন ক্যাডারে নিয়োগ পাবে না, অপরদিকে নন টেকনিকাল মন্ত্রণালয়ের জন্য পদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী নন টেকনিক্যাল প্রার্থী (নন টেকনিক্যাল মানে যারা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার নয়) নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে। প্রতিটি ব্যাচে যা রিকোয়েরমেন্ট শুধু সেটাই ফিলআপ করতে হবে। তাহলে অতিরিক্ত ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ হবে না এবং মেধার অপচয়ও রোধ করা সম্ভব হবে।
 
 
লেখক: প্রভাষক, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, নোবিপ্রবি

এমডি/এমএইচ/বাংলাবার্তা