বাসা-বাড়িতে জুমা পড়বেন যেভাবে

মাওলানা ইমদাদুল্লাহ

উচিত হবে, জুমআর নামাযের জামাত কায়েম করার চেষ্টা করা। কেননা জুমার নামায সহীহ হওয়ার জন্য মসজিদ হওয়া শর্ত নয়। তাই ইমাম ব্যতীত কমপক্ষে তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মুক্তাদি থাকলে জুমার নামায আদায় করা সহীহ হবে।

যদি বাসাবাড়ি বা অফিসে জুমার নামায আদায় করা হয় তাহলে প্রধান গেইট খোলা রাখবে। যাতে আশপাশের কোনো লোক জামাতে শরিক হতে চাইলে তার সুযোগ থাকে।
অতএব জুমার নামাযের ওয়াক্ত হলে প্রথম আযান দেয়া হবে। অতঃপর জুমআর পূর্বের চার রাকআত সুন্নত আদায় করে ইমামের সামনে দ্বিতীয় আযান দেয়া হবে। তারপর ইমাম সাহেব সংক্ষিপ্ত দুটি খুতবা দিয়ে দুই রাকাত জুমার ফরয পড়িয়ে দিবেন।

আরবী খুতবা মুখস্থ না থাকলে কোনো খুতবার কিতাব থেকে দেখে দেখে পড়বেন। যদি খুতবার কোনো কিতাব না থাকে তাহলে আরবীতে আল্লাহ তাআলার হামদ-ছানা, দরূদ শরীফ ও কুরআন মজীদের কিছু আয়াত এবং দুয়েকটি হাদীস পাঠ করে দুটি খুতবা দিবেন। কারো পক্ষে যদি এটিও সম্ভব না হয় তাহলে শুধু সূরা ফাতেহা এবং সূরা ইখলাস পাঠ করলেও জুমআর খুতবা আদায় হয়ে যাবে। কেননা জুমার খুতবার মূল রুকন ‘আল্লাহর যিকির’ এতে রয়েছে।

খুতবার সময় ইমাম সাহেবের বসার জন্য মিম্বার থাকলে ভালো। অন্যথায় তিনি চেয়ার বা উঁচু কোনো জিনিসের উপর বসবেন। আর খুতবা জমিনে দাঁড়িয়ে দিবেন। এভাবে জুমার নামায আদায় করলে জুমা সহীহ হয়ে যাবে।

কিন্তু যদি অন্তত চারজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষলোক সমবেত হতে না পারে কিংবা কোনো কারণে জুমার জামাত কায়েম করা না যায় তাহলে সবাই যোহরের নামায একাকী আদায় করে নিবে। এক্ষেত্রে যোহরের নামায জামাতে আদায় করা যাবে না। কেননা জুমার দিন কোনো কারণে জুমার নামায পড়তে না পারলে যোহরের নামায জামাতে আদায় করা মাকরূহ তাহরীমী।[শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৫৫১; রদ্দুল মুহতার ২/১৫১,১৫৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৪৮; কিতাবুল ফাতাওয়া ৩/৬৬]


সূত্র: দারুল ইফতা, জামিআতুল উলূমিল ইসলামিয়া বিন্নুরী টাউন, করাচী, পাকিস্তান।

এমডি/ এমএইচ/বাংলাবার্তা