ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেফতারে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (২১ জুন) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন আবরার মাহমুদ ও আজাদ হোসেন।

 
বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করা মানুষের মানবিক অধিকার। মানুষ রাষ্ট্র, আইন, সংবিধান বানায়, অনুমোদন করে সেই নিঃশর্ত মানবিক অধিকারকে নিশ্চিত করার জন্য, হস্তক্ষেপ বা কেড়ে নেয়ার জন্য নয়।
 
দেশের যেকোন নাগরিক তো বটেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিঃসঙ্কোচে মতপ্রকাশ এবং প্রয়োজনে সরকার ও রাষ্ট্রের ভুল, বিপজ্জনক নীতি, দুর্নীতির সমালোচনা করার সমস্ত অধিকার সংরক্ষণ করেন। তাদের এই জ্ঞানগত ও রাজনৈতিক অধিকারের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রের প্রাথমিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
 
কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে, তথাকথিত ‘মানহানী’, ‘কটূক্তি’র ঠুনকো অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে সাংবাদিক, লেখক, কার্টুনিস্ট, সংগঠক,
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক মামলা দায়ের করা হচ্ছে, জেলে প্রেরণ করা হচ্ছে।
শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতেই খুবই দ্রুত সময়ে তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। পৃথিবীর কোন দেশে এত দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধ প্রমাণিত হবার আগেই আইন কার্যকরের নজির নেই।
 
আর সরকার এবং রাজনৈতিক নেতার সমালোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কীভাবে মানহানি ঘটে তা আমাদের কল্পনায়ও আসে না। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা আমাদেরকে রীতিমতো অবাক করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে রাজনৈতিক দলের মত আচরণ করে তখন স্পষ্টত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংজ্ঞা ও দার্শনিক অস্তিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয় যা কোন উদার, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে কখনোই শুভকর নয়।
 
সম্প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভিত্তিতে যেসব লেখক, সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট, সংগঠক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের নামে মামলা ও গ্রেফতার করা হয়েছে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই । অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই ।

এমএম/এমএইচ/বাংলাবার্তা