অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে অনলাইন ক্লাস নেয়ার জন্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। খুব ভালো কথা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বাদ দিলাম কিন্তু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তাগিদ কতটুকু কার্যকর হবে? কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখেছেন কি? যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ৬৮ হাজার গ্রামে। রয়েছে প্রচুর গরিব শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশের মোবাইল কোম্পানিগুলোতো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির থেকে খারাপ! এই দুর্যোগে তাদের হৃদয় গলেনি! মোবাইল কলরেট, ইন্টারনেট বিল তেমন কমিয়েছেন বলে নজরে আসেনি। এখন যেখানে গরিব শিক্ষার্থীরা কোনরকম খেয়ে পরে বাঁচতে অসুবিধা হচ্ছে, অনেকে সরকারি বা বেসরকারি ত্রাণের সাহায্যে জীবন যাপন করছে। তারা ইন্টারনেট বিল ও স্মার্ট ফোন কেনার টাকা পাবে কোথায়?
গরিব শিক্ষার্থী যাদের স্মার্ট ফোন নেই, বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকার তাদের জন্য আগে স্বল্পমূল্যে স্মার্টফোনের ব্যবস্থা করা হোক। আর মোবাইল কোম্পানিগুলো সকাল ৯ টা থেকে অন্তত ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট ফ্রি করে দেয়া হোক। নইলে আমাদের অনলাইন ক্লাস , শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করবে, মোবাইল কোম্পানিগুলোর ব্যবসা জমজমাট হবে, কারো জন্য হবে ‘ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মতো’ !
লেখক: শিক্ষক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা