চার যুগেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সুনামগঞ্জের যে গ্রামে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোয়ালিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম হরিপুর। উপজেলা সদরের খুব কাছাকাছি হলেও স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এ গ্রামে। এই গ্রামে চলাচলের জন্য নেই কোনো কাঁচা-পাকা রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা।

উপজেলা সদর কেয়া ঘাঠে থেকে মাত্র ১৫ মিনিট দূরের গ্রাম হরিপুর গেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। দোয়ারাবাজার উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৫ কি.মি দূরে হলেও পুরো এলাকা এখনও রাস্থা বিহীন। আশেপাশে কোনো বিদ্যালয় না থাকায় অন্তত ৮-৯ কি.মি দূরে পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হয় এই গ্রামের শিক্ষার্থীদের। চলাচলের জন্য সড়ক নির্মাণের জনপ্রতিনিধির কাছে আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। রাস্তা না থাকায় গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে কাঁধে করে হাসপাতাল নিয়ে যেতে হয়।

যাতায়াতের জন্য কোনো ধরনের কাঁচা বা পাকা রাস্তা নেই। তাই গ্রামবাসীকে জমির আইল বা পাহাড়ি পথ ধরে চলাচল করতে হয়। ফলে বর্ষাকালে দুর্ভোগ বেড়ে দ্বিগুণ হয়। শহরের কাছাকাছি হলেও রাস্থা না থাকায় এ যেন বাতির নিচেরই অন্ধকার। সরকারের পক্ষ থেকে দুর্গম এলাকায় সোলার প্যানেল বিতরণ করলেও এখানকার কেউ তা পায়নি।

হরিপুর গ্রামের শ্রী নিপেন্ড মালাকার অভিযোগ করেন, রাস্তাঘাট,কিছুই নেই। উপজেলা সদরের কাছাকাছি বসবাস করেও তারা অবহেলিত। কোনো কিছুর জন্য আবেদন করেও লাভ হয়নি।

শিশুদের হেঁটে ৮-৯ কি.মি দূরের দোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হয়। প্রতিদিন এক ঘণ্টা হেঁটে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে হয় জানিয়ে রাস্তাঘাট না থাকায় বর্ষাকালে বিদ্যালয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

দোয়ালিয়া ইউয়িন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনুর মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করে ও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাবার্তা/আরএইচ