চবি শাটল ছাত্রীদের উত্যক্তের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি

চবি প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে বহিরাগতদের দ্বারা উত্যক্তের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা প্রশাসনের নিকট ৪ দফা দাবি পেশ করেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রক্টর অফিসে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, শহর থেকে ক্যাম্পাসে এবং ক্যাম্পাস থেকে শহরে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম আমাদের শাটল ট্রেন৷ প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের এই শাটল ট্রেনে যাতায়াত করতে হয়৷ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রতিদিন কৌশলে অনেক বহিরাগত যাতায়াত করে থাকে৷ তারা শাটল ট্রেনে অবস্থান কালে মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত, ভীড়ের মধ্যে শারীরিক লাঞ্ছনা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অসদাচরণ সহ নানা রকম অপকর্ম করে থাকে৷
শিক্ষার্থীদের শাটলে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বহিরাগতরা যাতে শাটলে যাতায়াত করতে না পারে সেই বিষয়ে অনতিবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ
গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি৷

৪ দফা দাবী হলো –
১. শাটলে বহিরাগতদের যাতায়াত সম্পূর্ণ রোধ করতে হবে।
২. শাটলে প্রশাসনিক লোক নিয়োজিত করতে হবে।
৩. মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. শাটলে রাত্রিকালে চলাচলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে লাইট গুলো মেরামত করতে হবে৷

এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম নিথি বলেন, আমাদের সকালের শাটলে আমাদের বোনেরা হেনস্তার স্বীকার হচ্ছে বহিরাগতদের মাধ্যমে। শাটলে বহিরাগতদের চলাচল বন্ধ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হোক। শাটলের প্রত্যেকটি বগিতে প্রক্টর স্যার ও ক্যাম্পাসে কর্মরত পুলিশ প্রধানের নাম্বার দেয়ার ব্যাবস্থা নেয়া হোক। এতে করে যেকোন মেয়ে বিপদে পড়লে অই নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবে। আশা করি আমাদের এই পদক্ষেপ এ প্রশাসন দ্রুত ও যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, শাটল ট্রেনে আমরা প্রক্টর ও পুলিশের নাম্বার ঝুলিয়ে দেবো। আমরা সবাই মিলে যদি সচেতন না হই তাহলে কেউ নিরাপত্তা দিতে পারবে না। আমদের প্রত্যেককে একে অপরকে সাহায্য করতে হবে। আমি ওদের বলেছি যে ওরা ক্যাম্পাসে এ ক্ষেত্রে একটা সচেতনতা মূলক র‍্যালি করতে পারে। এক দল লাইট লাগানোর পক্ষে আরেক দল ছাত্র লাইট না লাগানোর পক্ষে। ছাত্ররাই লাইটগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। এমনও ঘটনা ঘটেছে, লাইট লাগানোর পরই স্টেশন মাস্টারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে লাইট খুলে ফেলার জন্য। স্টেশন মাস্টার আমাকে ফোন দিয়ে বলে, স্যার আমি এখন কী করবো? ট্রেনে আলো না থাকার ব্যাপারে ছাত্ররাই দায়ী। ট্রেন কর্তৃপক্ষ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আংশিকভাবে এটা সমাধান করতে পারবে না, আমাদের সম্মিলিত সচেতনতা দরকার।

বাংলাবার্তা২৪/এমএম/