চবি ও চট্টগ্রামের ভোট পেলেই মিস ওয়ার্ল্ড জিততে পারবো, তোরসা

বাংলাবার্তা ডেস্ক:

মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৯ নির্বাচিত হওয়ার পর ‘মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা-২০১৯’ এ বাংলাদেশের হয়ে লড়ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী রাফাহ নানজিবা তোরসা। গত ২০ই নভেম্বর ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে লন্ডনের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন তিনি।

মিস ওয়ার্ল্ড-২০১৯ প্রতিযোগিতায় এবারের আসরে ১১৯টি দেশের সঙ্গে বিভিন্ন রাউন্ডে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশের তোরসা। আগামী ১৫ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ৬৯তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব।

১১ বছর বয়স থেকে তোরসা লায়ন্স (বিশ্বের মানবসেবা প্রিয় ব্যক্তিদের একটি সংগঠন) ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের অধীনে লিওইজমের সঙ্গে যুক্ত থেকে এখন পর্যন্ত ১২টি প্রোজেক্টে অংশগ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি তিনি চ্যারিটির উদ্দেশ্যেই মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছেন। এই প্রতিযোগিতায় জেতার জন্য বাংলাদেশের মানুষের ভোর্ট এবং সমর্থন চেয়েছেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনটি ভোটিং পদ্ধতি রাখা হয়েছে। প্রথমত Mobster অ্যাপসের মাধ্যমে মিস বাংলাদেশকে ভোট দেয়া যাবে। দ্বিতীয়ত ইনস্টাগ্রাম এবং তৃতীয়ত মিস ওয়ার্ল্ড রাফাহ নানজিবা তোরসা পেজটিতে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং লাইক কমেন্ট ও ফলোয়িংয়ের মাধ্যমে তোরসার জন্য ভোট করা যাবে। এবং www.missworld.com ওয়েবসাইটে একটি আইডি খুলে কন্টেস্ট্যান্ট বা প্রতিযোগী অপশনে গিয়ে বাংলাদেশে ভোট দিতে পারবেন যে-কেউ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিযোগিদের জনপ্রিয়তা দেখা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিযোগিদের ফলোয়ার, ভিউয়ার্স, লাইক, কমেন্ট এসব বিবেচনা করেই বিচারকরা তার সাথে মানুষ সম্পৃক্ততা ও সমর্থন যাচাই করেন।

চট্টগ্রামের কক্সবাজার কুতুবদিয়া উপজেলার মেয়ে তোরসা ছোটবেলা থেকেই নানান প্রতিভার অধিকারী। পারদর্শিতা রয়েছে- নৃত্য, আবৃতি, বিতর্ক, থিয়েটার, মডেলিং এবং মূকাভিনয়ে।

চট্টগ্রাম ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হওয়া তোরসা বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আই আর) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।

রাফাহ নানজিবা তোরসা বলেন, শুরু থেকেই সহপাঠী বন্ধু বান্ধব এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক সাপোর্ট এবং উৎসাহ পেয়েছি। আমার বিশ্বাস চট্টগ্রামের মানুষ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোট পেলে আর কিছুই লাগবে না। সবাইকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের মানুষের আমার কাছে যেই প্রত্যাশা সেটা আমি পূরণ করতে পারবো। আশাকরি আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাবো ।