করোনা রোগী ভর্তি না করালে হাসপাতালে হানা দেয়ার হুমকি-শামীম উসমান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ কোন হাসপাতাল যদি করোনা রোগী ভর্তি না করায় তাহলে সরাসরি আমি নিজেই হাসপাতালে হানা দিব। তিনি আরো বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া করোনা রোগী ভর্তি না নিলে জেলার আইসিইউ সাপোর্ট সম্পন্ন দুটি হাসপাতালে হানা দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
 
গত শুক্রবার বিকাল ৪টায় নগরীর রাইফেল ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডিএনডির সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ইতিমধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় এবং ডিএনডি উন্নয়ন পকল্পের দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন।
 
নারায়ণগঞ্জ ডিএনডির লাখো মানুষের দুর্ভোগের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। ওই সময় তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া করোনা রোগী ভর্তি না নিলে জেলার আইসিইউ সাপোর্ট সম্পন্ন দুটি হাসপাতালে হানা দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় নগরীর রাইফেল ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, ডিএনডির সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ইতিমধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় এবং ডিএনডি উন্নয়ন পকল্পের দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। সেনাবাহিনী উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুইটি পাম্প চালুর চেষ্টা করছেন। ওই পাম্প দুটি চালু হলেই আশা করছি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দ্রুত জলাবদ্ধতার নিরসন হবে।
 
জলাবদ্ধতার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে শামীম ওসমান জানান, ডিএনডির উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য পরবর্তী আর্থিক বরাদ্দের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তিনি আলাপ করেছেন। আরও যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সেটা বরাদ্দ হয়ে গেলে সেনাবাহিনী এই প্রকল্পেকে হাতির ঝিলের চেয়েও মনোমুগ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করবেন। এতে প্রায় বিশ লাখ মানুষ স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাবেন বলে শামীম ওসমান আশা প্রকাশ করেন।
 
ডিএনডি এলাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরো ডিএনডি এলাকা পানির নিচে। এখানে যদি একজন থুতু ফেলে তাহলে সেটি সবার মধ্যে ছড়াবে। সেনাবাহিনী ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ডিএনডির পাম্প চালুর চেষ্টা চলছে, আজকের মধ্যে এটি চালু হবে বলে আশা করছি। আজ রাত থেকেই এখানের পানি সরা শুরু হবে। ডিএনডির পরবর্তী যে বাজেট প্রয়োজন সেটি যেন নারায়ণগঞ্জে আসে, নয়তো প্রতি বছর আমাদের এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
 
চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখনো আইসিইউ অনিশ্চিত। আমি বলছি না আইসিইউ হলে সব রোগী সুস্থ হয়ে যাবে, তবে মিনিমান সেবাটা যদি আক্রান্তরা পায় তাহলে তাদের স্বজনরা বলতে তো পারবেন যে আমরা একটুকু সেবা পেয়েছি। তারা স্বস্তি পাবে। নারায়ণগঞ্জের প্রো অ্যাকটিভ ও আল বারাকা হাসপাতালে আইসিইউ বেড রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের সেবা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। প্রো অ্যাকটিভ এটাকে বাণিজ্য হিসেবে নিয়েছে। যদি আগামী সপ্তাহের মধ্যে এখানে করোনা রোগীদের সেবা দেয়া না হয় তাহলে আমি সাংবাদিকদের নিয়ে সেখানে যাবো এখন যা যা করা দরকার করবো।

এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা