কবিতা: আয় বাঙালি আওয়াজ তোল

ফাহিম আহমেদ শাফায়াত

এদেশেতে ঘরে ঘরে বুদ্ধির ঢেঁকি,
অপরাধ দেখে তবু নির্বাক থাকি।
অপরাধ কত তবু মুখে নেই বোল,
রাজপথ নিশ্চুপ নেই শোরগোল।
ভিনদেশি চিন্তায় বুদ্ধির যজ্ঞ,
দেশ নিয়ে ভাবেনা এদেশের বিজ্ঞ।
কবে কোথা মরেছে ভিনদেশি রাজপুত,
দেশেকত আলোচনা কোথা তার ছিল খুত
কোথা তার দোষ ছিল,কোথা তার পুণ্য,
ভেবে ভেবে অবশেষে পাওনাটা শূন্য।
কোথাকার খেলোয়াড় কবে কি বলেছে দূরে,
তাই নিয়ে মারামারি করছি জোরে।
খেলার মাঠে চলছে,খুনাখুনি ভেলকি,
খেলোয়াড় জানে না এদেশের নামকি।
এইভাবে বিকিয়ে নিজেদের সত্তা,
বেঁচে আছি হয়ে যেন বাসি পঁচা বস্তা।
কোন দেশে কত হারে অপরাধ চলছে,
প্রাণহীন বাঙালি সেই শোকে মরেছে।
নিজদেশ রাখিয়া ভাবনার বহুদূর,
দেখি নাই হেথা ঢের অপরাধে ভরপুর।
দিনের আলোতে নহে কিশোরীরা নিরাপদ
তবুু জাতির নেই মুখে জোড়ালো প্রতিবাদ।
 কালো বলে তুমি যারে করিলে ঘৃণা,
সেই কালো ধরে না যে মৃত্যুর ধরনা।
করোনার ভয় তবু তাদের কি আসে যায়,
অধিকার রক্ষায় যাক যদি জান যায়।
ফ্লোয়েড হত্যায় কৃষ্ণাঙ্গ দগ্ধ,
খুঁকি মরে ধর্ষনে মোরা তবু শক্ত।
হায় হায় পাপী জাতি,তোরে করি ধিক্কার,
তোর বোনেরে,খায়চিড়ে,কুকুরেরা বারবার
 লাভ কি বল দেখি এই মেছেমিছি বাঁচবার,
হুংকারে গর্জনে কেন নও স্বোচ্চার।
চুপ থেকে যুগ যুগ আজ মোরা হারামি,
কত কাল করবি এ মিথ্যের ভাড়ামি।
অপরাধ দেখে কেন মুখে নেই বোল,
রাজপথ নিশ্চুপ নেই শোরগোল।
নেই আজ কোথাও টুকটাক প্রতিবাদ,
আসামীরা সাজাহীনে বেপরোয়া উন্মাদ।
তাই আয় বাঙালি আওয়াজ তোল,
স্তব্ধতার সব মুখোশ খোল।
মিথ্যে মেকির নিরবতা এইবারেতে বন্ধ কর,
দেখ না চেয়ে,চোখটি খুলে,কাঁদছে দেশের শত ঘর।
 আদালতের বারান্দাতে ধর্ষিতাদের চোখের জল,
দেখেও দেখছে নারে এই দেশেরই ন্যায় মহল।
সবে চেয়ে তব পানে আয় বাঙালি আওয়াজ তোল,
কত আর থাকবি নিরব, সাহস করে মুখরি খোল।
লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়   
এমএম/এমএইচ/বাংলাবার্তা