এক মাকে পুড়িয়ে হত্যা, প্রধানমন্ত্রীর কাছে চবি ছাত্রের খোলা চিঠি

2500

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার চকরিয়ার কৈয়ারবিল এলাকায় নিরহ মানুষকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে কোটি টাকার সম্পদ লুটের পর ৩০টি বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের খোলা চিঠি তুলে ধরা হলো।

 
হে মমতাময়ী! হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা,মানবতার মা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা। দেশের মানুষ করোনায় সৃষ্ট বিপর্যয়ে যেখানে গভীর সংকটগ্রস্ত,পুরো পৃথিবী থমকে গেছে।
সেখানে কিছু অমানুষ গত বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে আমাদের কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খিলছাদকের মানুষ সেহেরি খেয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতির সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে বরইতলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার সন্ত্রাসীরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীসহ ২০০ রাউন্ডের মত গুলি ছুঁড়ে এবং ২০-৩০ জন নিরহ মানুষকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সবাইকে এলাকাছাড়া করে। তারপর কোটি কোটি টাকার সম্পদ লোট করে ৩০টি বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। একজন মাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলে। তাদের দেয়া আগুনে অনেক গরু ছাগল পুড়ে ছাই।
এখন মানুষগুলোর সম্পদ বলতে ছাই ছাড়া কিছু নেই। কাপড়চোপড় পর্যন্ত নিয়ে গেছে। এখানকার বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ। কৃষক, দিনমজুর। আজ তিনদিন তাদের মুখে খাবার নেই,পানি নেই। দানবগুলি টিউবওয়েল পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে। খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে প্রায় সবগুলো পরিবার। এ দুর্যোগে তেমন কেউই এগিয়ে আসছে না।
হে মমতাময়ী মা! আপনি দেশের সব খবর রাখেন। এই দূর্যোগের রমজান মাসে এলাকাবাসীর দুঃখ-দূর্দশা আর সহ্য করতে পারছি না। নিশ্চয়ই আপনিও পারবেন না।
 
অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনার কাছে কিছু আবেদন রাখতে চাই।
১.দ্রুত দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থার নির্দেশ দিবেন। যেন প্রশাসনের অবহেলার কারনে এই দেশে নতুন আর কোন ঘটনার জন্ম না হয়।
২.প্রশাসন ও মাননীয় এমপিদের কাছ থেকে এখনো কোন দৃশ্যমান সাহায্য পায়নি তাই এলকাবাসী এখনও তাদের কার্যক্রমের ব্যাপারে সন্দিহান।
৩.আপনার ত্রাণ তহবিল থেকে সরাসরি ঘর ও সম্বলহারা এই সর্বস্ব মানুষগুলোর পূনর্বাসন করুন।
 
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।
আলী তানবীর
ইংরেজি(৩য় বর্ষ)
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
কৈয়ারবিল, চকরিয়া, কক্সবাজার।

এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা