একদিকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসি, অন্যদিকে চালচোরদের কলঙ্কদান

মুমিন মাসুদ:

এই কলুষিত সমাজ থেকে নোংরামি গুলো এমনি এমনি চলে যাবে? কোনকালেই এমনটা হয়নি। বিপ্লব আসে রক্তের উপর। বিপ্লব শব্দটা বড়ই তৃষ্ণাদগ্ধ প্রাণ। লাল রক্তের ঊষ্ণতায় সে চোখ মেলে তাকায়।
মাঝে মাঝে মনে হয় ড্রাকুলা কিংবা পিশাচ হতে পারে এর সমার্থক। ভ্যাম্পায়ার ও হতে পারে।


রক্ত ঝরানো বা রক্ত ছড়ানোর বিকল্পে যারা বিপ্লবের আশা করে, যারা মন্দির-মসজিদ-প্যাগোডা-গীর্জায় প্রার্থনা ও জপের টানে বিপ্লব আনার চেষ্টা করে, ওরা ভীতু। বড্ড ভীতু।
হয়তো তারা রক্তের লাল দেখে কল্পনা করে নেয় রাস্তায় পড়ে থাকা লাশ, গলাকাটা কিংবা এবড়ো থেবড়ো কোন পঁচা শরীর আর আঁতকে ওঠে। তাদের মনে হতে পারে প্রিয়জন থেকে দূরে সরে যাওয়া, কাতলা মাছের মাথা কিংবা পাঙ্গাশের পেটিতে ভাগ না বসাতে পারার অমার্জনীয় কষ্ট।


একজন বিপ্লবীর কাছে রক্ত মানে লাল রঙ। আল্পনা আঁকার অবর্ণনীয় সুযোগ। মানসপটে লালন করা দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত স্বপ্নের কথা ফুটিয়ে তোলার অস্ত্র। প্রিয়জন হারানো তাদের কাছে একটা শিল্প। দুষ্টু-মিষ্টি সুযোগ/খুনসুটি গুলো ইচ্ছে করে দূরে ঠেলে দেয়াটা একটা অন্যতম আনন্দের মাধ্যম।


একটি বিপ্লব, বারবার আসেনা। একটি সমাজ হুট করেই কলঙ্কমুক্ত হয়না। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসি দানে কালি একদিকে মুছলেও অন্যদিকে চালচোর কলঙ্কদান করছে। তাই, শুদ্ধি অভিযান প্রয়োজন। একজন যথোপযুক্ত নেতা প্রয়োজন। একটি বিপ্লব প্রয়োজন। অবশেষে কিছু রক্তের প্রয়োজন।

লেখক: সাবেক সহসভাপতি- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি

এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা