পল্লব আহমেদ সিয়াম
শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন ভূমি সংক্রান্ত ঝামেলা স্পটে গিয়ে সমাধান করে উপজেলা বাসীর মন জয় করে নিয়েছে। পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বাসিন্দা ইব্রাহীম খলিল এসেছেন ভূমি সংক্রান্ত মামলার সমাধান পেতে। এসিল্যান্ড মামলার সমাধান অফিসে নয় স্পটে গিয়ে দিবেন। যেই কথা সেই কাজ।
ইব্রাহীম খলিলের ভূমি সংক্রান্ত মামলার সমাধান দিতে এসিল্যান্ড আবদুল্লাহ আল মামুন ছুটে চলে গেছেন ইব্রাহীম খলিলের কাছে। শুধু ইব্রাহীম খলিল নয়, তার মতো অন্যান্য সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ডামুড্যা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন গ্রামের মেঠো পথ ধরে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যাচ্ছেন, সমাধান দিচ্ছেন। এমন সেবা পেয়ে উপজেলার সাধারণ মানুষ বেশ খুশি। কারন, কষ্ট করে সাধারণ মানুষকে উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে ধর্না দিতে হচ্ছে না। এখন এসিল্যান্ড নিজেই সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে সেবা দিচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে নিজে গিয়ে ভূমি সংক্রান্ত মামলা তদন্ত করে প্রকৃত ভূমি মালিকদের তাদের অংশ বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তাছাড়াও গ্রামের অসহায় প্রকৃত ভূমিহীনদের শনাক্ত করে তাদের মধ্যে খাসজমি লিজ বন্দোবস্ত দিচ্ছেন ।
ডামুড্যা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ভূমি অফিসে দূর্নীতি ও সাধারন মানুষ যাতে দালাল ধরে হয়রানির শিকার না হয়, গরীব অসহায় মানুষ তাদের কাঙ্খিত সেবা পান এই লক্ষ্যে আমার পথ চলা। অনেক সময় ব্যস্ততার কারনে উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে আমার সাথে সাক্ষাৎ করা সম্ভব হয়না, কিংবা সাক্ষাৎ পেলেও সাধারন মানুষ তাদের মনের কথাগুলো বলতে পারেন না। এক ধরনের সঙ্কোচ কাজ করে তাদের ভিতরে। এই জন্য সাধারণ মানুষের কাছাকাছি এসেছি। তারা যেন তাদের সমস্যাগুলো মন খুলে বলতে পারেন।
একই সাথে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অথচ একই কাজ নিয়ে দালালের কারনে তাদের দিনের পর দিন ঘুরতে হয়েছে ভূমি অফিসে। আবদুল্লাহ আল মামুন আরো বলেন, অনেক সময় অফিসে বসে ভূমি সংক্রান্ত মামলা ও খাসজমি লিজে প্রকৃত ভূমি মালিক ও ভূমিহীনদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়ে উঠে না। এজন্য সরাসরি তাদের মাঝে আসা। এখানে কে ভূমিহীন ও আর কে ভূমিহীন না তা সহজেই শনাক্ত করা যাচ্ছে।
এমডি/এমএইচ/বাংলাবার্তা