আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রোয়াসুস বলেছেন, করোনার প্রকোপ এখনো বাড়ছে। এর বিরূপ প্রভাব অনুভূত হবে কয়েক দশক ধরে। রাজনৈতিকীকরণ করে এ মহামারিকে বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে।
সোমবার (২২ জুন) এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডব্লিউএইচওর প্রধান। তিনি বলেন, এ মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক নেতৃত্ব এখনো এককাতারে দাঁড়াতে পারেনি। আর এই বৈশ্বিক বিভাজন নিয়ে মহামারিকে হারানো সম্ভব না। খবর বিবিসি ও নাইন নিউজের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রাদুর্ভাব হয় করোনাভাইরাসের। এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। চলতি বছরের মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ গেছে সাড়ে চার লাখেরও বেশি মানুষের। গত সপ্তাহেই ডব্লিউএইচও বিশ্বে নতুন এবং ব্যাপক মাত্রার সংক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। ফ্রান্সের মতো ইউরোপের কিছু দেশ লকডাউন প্রত্যাহার করে স্কুলে খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নানা রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোয় সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী।
এ পরিস্থিতি ডব্লিউএইচওর প্রধান বলেন, ‘রাজনৈতিকীকরণ করে এ মহামারিকে বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। আমরা সবাই যদি নিরাপদ না থাকি, তবে কেউ আলাদা করে ভালো থাকতে পারব না।’
রাজনৈতিকীকরণের অভিযোগ তুললেও গেব্রোয়াসুস সুনির্দিষ্টভাবে কারও নাম করেননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডব্লিউএইচওর প্রবল সমালোচক। মহামারির শুরুর দিকে সাবধান না করার জন্য বৈশ্বিক এই স্বাস্থ্য সংস্থাকে বারকয়েক দুষেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি এ সংস্থাকে চীনের প্রতি দুর্বল বলেও আখ্যায়িত করেছেন।
গেব্রোয়াসুস বলেন, ‘এ মহামারি শুধু একটি স্বাস্থ্যগত সমস্যা না; এর চেয়েও বেশি কিছু। এটি একটি অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক সংকট। আবার অনেক দেশে এটি রাজনৈতিক সংকটও।’
এমডি/এমএইচ/বাংলাবার্তা