ঢাবিতে পড়ে কেন ইলিশ বিক্রেতা হলাম?

ঢাবি শিক্ষার্থীর ইলিশ চাষ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদপুরের ইলিশ স্বাদ ও ঘ্রাণে অনন্য হওয়ায় দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল, ক্যামিক্যালযুক্ত, দীর্ঘদিনের ফ্রিজে রাখা মাছ, সামুদ্রিক ইলিশ, এমনকি কিছুটা ইলিশের মতো দেখতে সার্ডিন ও চৌক্কা নামক মাছগুলোকে চাঁদপুরের ইলিশ বলে চালিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
 
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্রেতারা প্রতারিত হওয়ার পরও ধরতে পারছে না প্রতারণা। ফলে প্রতারিত হওয়ার অধ্যায় দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এভাবে একদিকে মানুষ যেমন চাঁদপুরের রূপালি ভালোবাসার স্বাদ হতে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে চাঁদপুরের এই সিগনেচার প্রোডাক্টের সুনাম।
এসব বিষয় বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী সিয়াম তৈরি করলেন ‘ইলিশের বাড়ি’ (চাঁদপুরের তাজা ইলিশের নিশ্চয়তায়)। চাঁদপুরের ইলিশের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতারণা ছাপিয়ে চাঁদপুরের ইলিশ দেশে বিদেশে ইলিশের সুনাম অটুট রাখার স্বপ্ন দেখে ‘ইলিশের বাড়ি’।
 
অন সিজনে দাম কম থাকলেও অফ সিজনে চাঁদপুরের ইলিশের দাম বেড়ে গেলে হয়তো অনেকেই আমার থেকে কিনবে না। তখন হয়তো কিছু ক্রেতা আমার হাতছাড়া হবে। কেউ কেউ হয়তো বলেও বসবে ডাকাতি করছি। কিন্তু তাতে আমার কিছু আসে যায় না।
 
সিয়ামের ভাষায়; যে যাই বলুক, কোয়ালিটির সাথে আমি কখনোই কোন ধরনের আপস করবোনা ইনশাআল্লাহ৷
আর জ্ঞানীরা জানেন, “জিনিস যা ভালো, দাম তার একটু বেশিই”

এমডি/এমএইচ/বাংলাবার্তা