সিলেটে করোনা সন্দেহভাজন পলাতক, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক


নিজস্ব প্রতিবেদক

দোয়ারাবাজারে করোনা সন্দেহভাজন এক যুবক পলাতক রয়েছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলা গ্রামে।


জানা যায়, পশ্চিম টেংরাটিলা গ্রামের যুবক দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার গাজীপুরে কাজ করে আসছে। গত কয়েক দিন আগে তার ঢাকায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তাকে করোনা সন্দেহভাজন চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন চিকিৎসক।

এরপর গুজব রটে করোনারোগীদেরকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। গুজবের জের ধরে ঢাকা থেকে গত শনিবার পালিয়ে এলাকায় চলে আসে সে। তার পরিবারও এই ঘটনা ধাপাচাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করে। ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর থেকে ওই যুবক নিখোঁজ রয়েছে। তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে অনেকে বলছেন, বাড়িতে আসার পথে ছাতক থেকে পালিয়েছে করোনা সন্দেহভাজন এই যুবক। এদিকে তার সাথে আসা এলাকার এক মহিলা এখনো পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, করোনা সন্দেহভাজন যুবকের কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছেনা এবং ঢাকা থেকে তার সাথে আসা মহিলাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানা হচ্ছেনা। এব্যাপারে তার পরিবারের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কাউকেই পাওয়া যায়নি।

সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মামুনুর রশীদ বলেন, আমি পারিবারিক কাজে সিলেটে আছি। এলাকা থেকে সন্দেহভাজন যুবকের কথা জানিয়েছে অনেকে। আমি তার পরিবারকে জানিয়েছি তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য। তবে এখন জানতে পারছি সে বাড়ি থেকে পালিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানাব।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা এ ধরনের খবর পেয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য সকালে তার বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে এবং তার পরিবারের কোনো সদস্যদেরক বাড়িতে পাওয়া যায়নি। জানতে পেরেছি ঢাকায় তাকে করোনা সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করার পর সে সেখান থেকে পালিয়ে এসেছে। তাকে না পাওয়ায় সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।


দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, এলাকা থেকে অভিযোগ এসেছে। তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখন সে পলাতক রয়েছে। খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। সে সত্যিই করোনা আক্রান্ত কিনা তা সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা যাচ্ছে না।

এমডি/এমএইচ/বাংলাবার্তা