ফোন পেলেই বাচ্চুর ত্রান সামগ্রী পৌছে যাচ্ছে চট্টগ্রামের মানুষের ঘরে


বিশেষ প্রতিনিধি


করোনার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দেশের কেটে খাওয়া ও নিম্মমধ্যবিত্ত মানুষগুলো বাসা-বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা। চট্টগ্রাম শহরের প্রতিনিটি থানায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়ে সেই দিনমজুর ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষগুলোর দোয়ারে খাবার সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু।


১০ কেজি ওজনের বিভিন্ন খাবার সামগ্রী। চট্টগ্রাম শহরের মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে তার নির্দেশে নগরীর প্রতিটি থানা ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা। নিম্মমধ্যবিত্ত মানুষ কারো কাছে বলতে পারছে না, উপার্জনের রাস্তাও বন্ধ। এসব মানুষের পাশে দাড়িয়েছে সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।


খতিজা বেগম রানু নামের একজন বলেন, অনেক কষ্টের সংসার। সামান্য বেতনের টাকা যা ছিলো, তা ২৫ তারিখে শেষ। কয়েকদিন ধার-দেনা করে চলেছি। এ মুহূর্তে এমন সাহায্য অনেক বড় পাওয়া। পরে পাশের বাসার অনেক প্রতিবেশি আমার কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে কল করেন। তারাও ওইদিন রাতে এসব খাবার সামগ্রী পেয়েছেন।
তিনি জানান, পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চুর উদ্যোগে এসব সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, বায়েজিদ, ডবলমুরিং, কোতোয়ালি,চান্দগাঁও, চকবাজার, পাহাড়তলি, আকবর শাহ, পাঁচলাইশ,বন্দর, ইপিজেড, হালিশহর ও বাকলিয়া থানা এলাকায়ও পরিচয় গোপন রেখে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের সাহায্য করছেন সাবেক ছাত্রনেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু।


যাদের মূলত সাহায্যের প্রয়োজন অথচ লজ্জায় প্রকাশ্যে চাইতে পারছেন না, এমন পরিবার ফোন করে যোগাযোগ করলেই তাদের বাসায় ৫ কেজি চাল, এক লিটার তেল, দুই কেজি আলু, এক কেজি লবণ, ডাল ও সাবানসহ ১০ কেজির প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে দুই হাজার পরিবারকে এ সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
আরশেদুল আলম বাচ্চু বলেন, যাদের মূলত ত্রাণ প্রয়োজন কিন্তু চাইতে পারছেন না, তারা ফোন করে যোগাযোগ করলেই পরিচয় গোপন রেখে তাদের বাসায় বিভিন্ন খাবারের ১০ কেজির প্যাকেট পৌঁছে দিচ্ছে থানাভিত্তিক প্রতিনিধিরা। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে তাদের নাম ও নাম্বারসহ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।


ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন বায়েজিদ থানা এলাকায় ফয়সাল আহমেদ (01819886366), মাহফুজ হোসাইন (01629620058), ডবলমুরিংয়ে কাজী মাহমুদুল হাসান রনি (01887928045), রাকিব হায়দার (01819119044), বাকলিয়ায় নাদিম উদ্দিন (01814700581), এনামুল হক মানিক (01811529085), মিজানুর রহমান (01925353264), কোতোয়ালিতে মুজিবর রহমান (01674451680), চাঁন্দগাওয়ে নূর নবী শাহেদ (01815953662), পাহাড়তলীতে ইমাম হোসেন ইমন (01753200926), ফারুক আহমেদ অপু (01822890473), আকবর শাহ এলাকায় জুয়েল সিদ্দিকী (01840339678), পাঁচলাইশে আবদুল আল আহাদ (01819506062), সোহেল বড়ুয়া (01811989015), খুলশীতে রুবেল সরকার (01675435703), শাহাদাত হোসেন হীরা (01683212950), হালিশহরে এস এম মিজবাহ (01682596605), ইমরান খান আরভি (01845799603), জাবেদ রহিম মুন (01680559689)।


এছাড়া বন্দর থানা এলাকায় নুরুজ্জামান বাবু (01878902583), চকবাজারে আনোয়ার হোসেন আবির (01822441214), জাহেদুর রহমান (01827229584), সদরঘাট থানা এলাকায় জোবায়ের রহমান (01760835191), আনিসুর রহমান (01781688066), সোহেল রানা (01881974331), ইপিজেড থানা এলাকায় জরজীশ (01672337687) ও পতেঙ্গায় মেহেরাজ তৌসিফ (01855535896) দায়িত্ব পালন করছেন। হালিশহর থানাঃ এস এম মিজবাহ- (01682596605)ইমরান খান আরভি- (01845799603) জাবেদ রহিমমুন-(01680559689)

এসএস/ এমএইচ/ বাংলাবার্তা