বাংলা ভাষার সংগ্রামে-স্বীকৃতিতে সাংবাদিকদের বিশাল অবদান, ড. অনুপম সেন

বিশেষ প্রতিনিধি

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজ বিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, বাংলা ভাষার স্বীকৃতিতে- সংগ্রামে সাংবাদিকদের বিশাল অবদান রয়েছে। সংবাদ পত্র বা গণমাধ্যমের অবদান ভুলবার মত নয়। বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে প্রফেসর ড. অনুপম সেন’একুশ ও বাংলাদেশের গণমাধ্যম’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মেলার আলোচনা মঞ্চে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলী, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, চিটাগাং টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনা প্রমুখ । স্বাগত বক্তব্য রাখেন বইমেলা কমিটির সচিব ও চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া।‌

ড. অনুপম সেন বলেন, বাঙালিকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এই স্বাধীনতা জাগর হয়েছিল ভাষা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। এই সংগ্রামেও বঙ্গবন্ধু কারান্তরীণ হন। তিনি আরো বলেন, ৫২এর ভাষা সংগ্রামে চট্টগ্রামের কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীর একূশের প্রথম কবিতা পাঠের জন্য চৌধুরী হারুনুর রশিদের জেল হয়েছিল। কোহিনূর প্রেসের প্রতি পাকিস্তান সরকারের অগ্নিরোষ হয়েছিল। ড. সেন আরো বলেন, ফরাসি বিপ্লবের লক্ষ্য ছিল সাম্য মৈত্রী ও স্বাধীনতা । বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে সেই স্বাধীনতা দিয়েছিলেন বলেই সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন।

সভাপতির বক্তব্যে পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের সংগ্রামে গণমাধ্যমকর্মীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা গেলেই জাতীয় উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা আরও অধিকতর হতে পারে। নতুবা শূণ্য উদরে উচ্চ চিন্তা টেকসই হবে না। মর্যাদাগত ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন তিনি। ‌বইমেলার ১৯তম দিবসের এই আলোচনা থেকে বক্তারা চট্টগ্রামের সর্বজনীন বইমেলা আয়োজনের জন্য মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীতেও এই মেলা অব্যাহত রাখতে চসিকের দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান।