নিউজ ডেস্ক
অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য গাড়ির আশায় পুরো তল্লাটে ঘুরল ছোট ভাই। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে একটা গাড়িরও খোঁজ না পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে ফোন দিল আমাকে-‘ভাইয়া গাড়ি পাচ্ছি না। একটু চেষ্টা করো তো।’
এরপর গাজী ফিরোজ শিবলী ভাইয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করলাম চান্দগাঁও থানায়। কয়েকমিনিটের মাথায় অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন-‘আমি চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক রূপক বলছি। আপনার বাসার ঠিকানাটা বলুন প্লিজ।’ ঠিকানাটা বুঝিয়ে নিলেন।
এর পাঁচ মিনিট পর রূপক দাদার আবারও ফোন-‘আমরা আপনার বাসার নিচে অপেক্ষা করছি। আস্তে-ধীরে নামুন।’ সবাইকে তুলে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে শা শা করে ছুটল গাড়ি।
যাওয়ার আগে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাইলে রূপক দাদা মুখে হাসির রেখা নিয়ে বলে ওঠলেন-‘না, আপনাদের সেবা করাই তো আমাদের দায়িত্ব।’
করোনা আর দূর দেশের কোনো অসুখ নয়। আমাদের শিয়রেও ধুলছে তার ছায়া। যেকোনো মুহূর্তে গিলে খেতে পারে। তাই বলছি বাসায় থাকুন। আর গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রয়োজনে ফোন দিন-থানা কিংবা জেলা প্রশাসনের হটলাইনে।
তবে প্লিজ পাঁচফোড়ন কিংবা রুই মাছের আবদার নিয়ে ফোন দেবেন না। আপনাদের এমন হাস্যকর চাওয়া কিন্তু এই ভালো উদ্যোগে ভাটা পড়তে পারে। কোনো মৃত্যুপথযাত্রী রোগী হাসপাতালে যেতে না পেরে ঘরেই মারা যেতে পারেন।
আর একটা কথা মনে রাখুন, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কিন্তু নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের ‘জীবন বিপন্ন’ করে এই দমবন্ধ সময়েও আপনার পাশে আছে।
পুনশ্চঃ গতকালকের ঘটনা। দিনভর ব্যস্ত থাকায় কৃতজ্ঞতা জানাতে দেরি হলো।
সাংবাদিক তাসনিম হাসানের ফেইসবুক টাইমলাইন থেকে
এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা