Friday, July 18, 2025
Homeসাহিত্যবইমেলা'পাইলট যেভাবে প্লেনটা সামলে সবাইকে বাঁচালেন সেটা একটা মিরাকল'

‘পাইলট যেভাবে প্লেনটা সামলে সবাইকে বাঁচালেন সেটা একটা মিরাকল’

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে অবতরণের সময় ছিটকে রানওয়ের বাইরে চলে যাওয়া বিমান বাংলাদেশের বিমানটির কমপক্ষে ১৮ জন যাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

শুরুতে আহতদের বিমানবন্দর থেকে দশ মিনিটের দূরত্বে নর্থ ওকলাপা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তাদের ইয়াঙ্গুন জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

বিমানের পাইলট সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ইয়াঙ্গুনে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকেই বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন।

তাদের একজন মুনিমউল ইসলাম। মিয়ানমারে একটি আইটি কোম্পানির মালিক। তিনি বর্ণনা করছিলেন হাসপাতালে কী পরিস্থিতি তিনি দেখেছেন।

তিনি বলছিলেন, “হাসপাতালে গিয়ে প্রথমেই দেখি আহতরা সবাই যেন এক ধরনের শকের মধ্যে আছে। প্যাসেঞ্জারদের কাছ থেকে যেটা আমরা শুনলাম যে পাইলট যেভাবে প্লেনটা সামলে সবাইকে বাঁচালেন সেটা একটা মিরাকল। তবে পাইলট নিজেই অনেক আহত। ওনাকে নিয়েই আমরা বেশি চিন্তা করছি।”

কিভাবে খবর পেলেন সেই বর্ণনা দিয়ে তিনি বলছিলেন, “যখন খবর পেলাম যে প্লেন একটা ক্র্যাশ হয়েছে বাংলাদেশের, তখন ফেসবুকে নিউজটা শেয়ার করি পাবলিক পোস্টে। এরপরই যারা ফ্লাইটে ছিল তাদের আত্মীয় স্বজনেরা যোগাযোগ শুরু করে। আমরা প্রথম হাসপাতালটিতে গিয়ে কয়েকজনকে ট্র্যাক করলাম। কয়েকজনকে দ্বিতীয় হাসপাতালে নিয়ে আসার খবর শুনে আবার সেখানে গেলাম।”


হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাত্রীদের আঘাতের ধরন সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি। তবে সবাই আশঙ্কামুক্ত বলে রাতে বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ইয়াঙ্গুনের মুখ্যমন্ত্রী নিজে দুটি হাসপাতালেই দীর্ঘ সময় ছিলেন। সব কিছু তদারকি করেছেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রায় কর্মকর্তারাও হাসপাতালে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছেন। যারা আহত হননি তাদের শুরুতে বিমানবন্দরেই রাখা হয়েছে।

তাদের পাসপোর্ট বা কাগজপত্র জরুরি অবস্থায় বিমানেই ফেলে রেখে আসতে হয়েছে। রাতে বিমানবন্দরে তাদের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে তাদের বাইরে আসতে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল বৈরি আবহাওয়ার কারণে বিমানটি অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে বাইরে চলে যায়।

বিমানের ফ্লাইট ০৬০ বুধবার দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।

৬টা ২২ মিনিটে ইয়াঙ্গুনে অবতরণের সময় বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে। এসময় বৃষ্টি ও ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল বলে জানা গেছে।

বিমানটিতে মোট ৩৩ জন আরোহী ছিল। তাদের মধ্যে চারজন ক্রু সদস্য এবং বাকি ২৯ জন যাত্রী। যাত্রীদের মধ্যে একজন শিশুও ছিল বলে জানা গেছে।

যাত্রীদেরকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশে স্থানীয় সময় রাত দশটার দিকে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটের ইয়াঙ্গুন যাওয়ার কথা রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments