Thursday, July 10, 2025
Homeশিক্ষাক্যাম্পাসদুই দিনের বেতনের টাকায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব নোবিপ্রবি শিক্ষকের

দুই দিনের বেতনের টাকায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব নোবিপ্রবি শিক্ষকের

নোবিপ্রবি প্রতিবেদক:
 

চলমান করোনা মহামারীর কারণে দেশের সকল শ্রেণি- পেশার মানুষের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। সেই প্রেক্ষিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া সংক্রান্ত সমস্যা উত্তরণের জন্য এবং অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দুই দিনের বেতনের টাকা প্রদান করে তহবিল গঠনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ এন্ড লিবারেশন ওয়ার স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট শাহীন কাদির ভূইয়া।

 
এ ব্যাপারে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট শাহীন কাদির ভূইয়া বলেন, করোনা মহামারীর কারনে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া সংক্রান্ত যে সংকট তৈরি হয়েছে তা নিরসনের জন্য প্রত্যেক শিক্ষকের এগিয়ে আসা উচিত, এক্ষেত্রে আমি সকল শিক্ষককে আহ্বান করছি অন্তত দুই দিনের বেতনের টাকা দিয়ে একটি তহবিল গঠন করার।
 
তিনি আরো বলেন, আমরা সবাই যদি একদিন বা দুই দিনের বেতনের টাকা তহবিলে জমা দিই তাহলে সেটা ৬০০*১০০০=৬০০০০০ (ছয় লক্ষ টাকা) সর্বনিম্ন আরো বেশি হতে পারে। আর এটা আমরা যতদিন এই অবস্থা থাকবে ততদিন দিতে পারি। এক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণমূলক ফান্ডের টাকা হয়তো আমাদের সাথে প্রশাসন যোগ করতে পারে। সেই ব্যাপারে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
 
এ ব্যাপারে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করছে। আমরা আগেই বিশ্ববদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা করার জন্য একটি ফান্ড গঠন করে অনেক শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা করেছি। দুই দিনের বেতনের টাকায় ফান্ড গঠনের প্রস্তাবের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি অন্তত সুন্দর একটি প্রস্তাব।
এই বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সকল সদস্যদের নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বাংলাদেশ এন্ড লিবারেশন ওয়ার স্টাডিজ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া স্ট্যাটাসের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, প্রশাসনিক পদের সম্মানী, গাড়ির তেলের টাকা, ইমপ্রেস মানির টাকা এগুলো আদৌ খরচ করা যাবে কিনা বা এটি ইউজিসির অনুমোদন সাপেক্ষ কিনা তা না জেনেই একজন শিক্ষক হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব নিয়ে লিখে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করাটা অনুচিত বলে মনে করি।
 
এমডি/এমএইচ/বাংলাবার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments