ড্রামে করে ফিরে আসা মানুষগুলো পেটের দায়ে হেঁটে ঢাকাও গিয়েছিল

রিয়াজ হায়দার চৌধুরী

ড্রামভর্তি মানুষ! পাটুরিয়া ফেরিঘাটের চিত্র । ফিশিং বোটে করে মালয়েশিয়া কিংবা ইউরোপ যাওয়ার অপচেষ্টা তারা করেননি। করোনা সতর্কতায় ঢাকায় গমনাগমনের উপর যখন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা, তখন এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চুপিসারে মাছের ড্রামে করে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। একবার ভাবতে পারেন বিজিএমই এর কর্তারা?


পেটের দায়ে চাকরি রক্ষার জন্য মাইলের পর মাইল হেঁটে তারা ঢাকায় এসেছিলেন। সরকারের সাধারণ ছুটিকে উপেক্ষা করে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন গার্মেন্টস শিল্প মালিকরা। তাদের আদেশ শিরোধার্য মেনে কাজে ফিরে আসেন শ্রমিকেরা।

কিন্তু সেই মালিক পক্ষের হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণেই শেষ পর্যন্ত তাদের এমন ঝুঁকি নিতে হল । এই চিত্রে জন্মের পর থেকেই সরকারি প্রণোদনায় বিত্ত-বৈভবে ফুলে-ফেঁপে ওঠা এই অবিবেচক শিল্পখাতের মালিক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কুম্ভকর্ণ দায়িত্বশীলদের মুখ উজ্জ্বল হলো বটে !


(করোনা বিদ্ধ লুটেরা সময়ের ভাষ্য)

এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা