চবি শিক্ষার্থীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মানবতার আর্তনাদ’

মূর্ধন্য দিপু

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় নব সাহিত্য প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে তরুণ লেখক মুহাম্মদ হেদায়ত উল্লাহ’র কাব্যগ্রন্থ ‘মানবতার আর্তনাদ’। গ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন কারুধারা। বইটি সম্পর্কে হেদায়ত উল্লাহ বলেন, সাধারণত সমাজের সবাই বস্তুগত উন্নয়নের জন্য মৃত্যু অবধি চেষ্টা করে কাটিয়ে দেয়। কিন্তু মানুষের বস্তুগত উন্নয়নের চেয়ে মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়নটা যে অতি জরুরি তা তারা সহজেই ভুলে যায়। আর এই মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। আর আমিও এবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জাতীয় স্বার্থে সমসাময়িক বিষয়ের উপর কলাম ধরে কলম ও কালির চাহিদা পূরণের চেষ্টা করেছি। আমার চার ফর্মার কাব্যগ্রন্থটিতে মাতৃভাষা, মুজিব ও স্বাধীনতা, গ্রামবাংলার দৃশ্য, বিভিন্ন ঋতুর বর্ণনা, ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে কবিতাসহ ৫৮ টি কবিতা নিয়ে ‘মামবতার আর্তনাদ’ গ্রন্থিত করেছি। বইটি সম্পর্কে কবি ও কথাশিল্পী মুহাম্মদ ইয়াকুব জানান, হেদায়ত উল্লাহ’র ‘মানবতার আর্তনাদ’ কাব্যগ্রন্থটি নামকরণে শতভাগ সার্থক। গ্রন্থটির পরতে পরতে মিশে আছে অধিকার বঞ্চিত মানবতার তীব্র আর্তনাদ। পাশাপাশি দেশপ্রেম, প্রকৃতি, জাগরণের মন্ত্র আর সমকালীন ভাবনায় সমৃদ্ধ কবিতাসমূহের গঠনশৈলী, ভাবব্যঞ্জনা, উপমা প্রয়োগে জাদুকরী দক্ষতার প্রদর্শন শিল্পের বিবেচনায় উচ্চমার্গীয়। আমার বিশ্বাস, ‘মানবতার আর্তনাদ’ কাব্যগ্রন্থটি বাংলা কবিতা সম্ভারে অমূল্য বিবেচিত হবে। বইয়ের ফ্ল্যাপে কবি ও গীতিকার নূরে আলম মামুন লিখেছেন, ‘এ প্রজন্মের উদীয়মান লেখকদের মধ্যে কবি মুহাম্মদ হেদায়ত উল্লাহ অল্পবয়সেই তার দক্ষতা ও সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে কী করে বিষয়ের গভীর থেকেও গভীরে যাওয়া যায় তা কবির লেখা পড়লে সহজেই অনুভব করা যায়। সবাই কবি হতে পারে না, আল্লাহ সবাইকে সে প্রতিভা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান না। কবি মুহাম্মদ হেদায়ত উল্লাহকে আল্লাহ সেই প্রতিভা দান করেছেন, আর সে এই প্রতিভাকে গতিশীল রাখার জন্য নিয়মিত চর্চা করে যাচ্ছেন এবং দিন দিন নিজেকে বিকশিত করছেন। তার লেখার বিষয়বস্তু সুনির্দিষ্ট নয়, সে সকল বিষয়েই যুক্তি ও ভক্তি নিয়ে কলম ধরতে জানে। তার কলম অন্যায়, অবিচার, জুলুম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শাণিত অসির চেয়েও বেশি কার্যকর। ‘মানবতার আর্তনাদ’ গ্রন্থটি তার প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ। আমি অত্যন্ত আশাবাদী গ্রন্থটি সবার হৃদয়ে স্থান করে নেবে। কবির আগামীর পথচলা শুভ হোক সেই কামনা করি।’