চট্টগ্রামবাসীকে করোনা ঝুঁকিমুক্ত রাখতে হাসপাতালগুলোতে ছুটে বেড়াচ্ছেন নওফেল

নিজস্ব প্রতিবেদক


চট্টগ্রামবাসীকে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থেকে মুক্ত নিরাপদ রাখতে নগরীর হাসপাতালগুলোতে একের পর এক ছুটে বেড়াচ্ছেন চট্টলবীর মহিউদ্দীন পুত্র ও চট্টগ্রাম-০৯ আসনের সাংসদ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এসময় তিনি হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিচ্ছেন। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে সড়ক পথে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে বিআইটিআইডির জন্য ৯০০ কিটও নিয়ে আসেন।


জানা যায়, চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের করোনা ঝুঁকি মুক্ত করতে ব্যক্তিগত ও সরকারীভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে নগরীর জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। পাশাপাশি নগরবাসীর সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে যা যা করা লাগে সব করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
পরে সন্ধ্যায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয় নির্ধারণে চট্টগ্রাম জেলা প্রকাশকের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।


পরে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের উদ্যোগে ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডের গরীব, দু:খী, মেহনতী মানুষের মাঝে দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার বিতরণ করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার ফৌজদারহাটে বিআইটিআইডির জন্য ব্যক্তিগতভাবে গাজীপুরের মেয়রের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ৫০ টি কিট এবং ঢাকার রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্র (আইইডিসিআর) থেকে ৮৫০ টি কিট নিয়ে আসেন।
জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে কিটের পাশাপাশি আরও চিকিৎসা সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছেন উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এর মধ্যে আছে- ৪০ পিস পারসোনাল প্রটেকশন ইউনিট (পিপিই), এক হাজার এন-৯৫ মাস্ক এবং ১৪০টি মাথার ক্যাপ।


করোনা ভাইরাস শনাক্তে সম্প্রতি গাজীপুরের মেয়র নিজের এলাকার সিঙ্গাপুর থেকে ১০ হাজার কিট ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আনেন। সেখান থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নওফেল কিট ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
নওফেল বলেন, ‘যেহেতু এখন গাড়ি চলছে না, সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কিটগুলো সংগ্রহ করে আমি নিজেই নিয়ে আসছি।
তিনি আরো বলেন, কিট বাদে বাকি সরঞ্জামগুলো করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত সমন্বয় কমিটিকে দেওয়া হবে। তারা সেগুলো হাসপাতালে সরবরাহ করবেন।


এমএম/ এমএইচ/ বাংলাবার্তা