আবারও সক্রিয় ইয়াবা ব্যবসায়ী লুতু মিয়া-ফাহিম সিন্ডিকেট

বিশেষ প্রতিবেদক

মো. লুতু মিয়া বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কুতুবজুম ইউনিয়নের মেহেরিয়া পাড়ায়। দীর্ঘদিন ইয়াবা চালান নিয়ে পুরো দেশ চষে বেড়িয়েছেন। টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের হিসেবে কাজ করেছে নূরুল আমীন ফাহিমই মূল কারববরী। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করেন লুতু। ইয়াবা ব্যবসা করে দু’জনই হয়েছেন কোটিপতি।

জানা যায়, লুতু মিয়ার মা রোহিঙ্গ। বাবা বাংলাদেশ থেকে দীর্ঘদিন রোহিঙ্গা অবস্থান করে তার মাকে বিয়ে করেন। পরে তার মাকে নিয়ে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বর্তমানে তার পরিবার রোহিঙ্গা হওয়ার সত্বেও এক প্রভাবশালীর প্রভাব কাটিয়ে মহেশখালী থানার কুতুবজুম ইউনিয়নের মেহেরিয়া পাড়া অবস্থান করছে। লুতু মিয়া বর্তমানে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। তার ইয়াবা ব্যবসায় যোগদান নুরুল আমিন ফাহিমের হাত ধরে। ফাহিমের বাড়ি টেকনাফের হ্নীনাতে হওয়ার কারণে সহজে ইয়াবা সরবরাহ দিতে পারে। আর এ ইয়াবা চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় লুতু মিয়া। ফাহিমের পিতা ইয়াবা ব্যবসার গডফাদার হিসাবে পরিচিত ছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ছিল তার বাবা। ফাহিমের পিতা প্রথমদিকের অভিযানে র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন। পরে সরকার ফাহিমের পিতার অবৈধ বাডি ও সম্পদ জব্দ করে। কিছুদিন যেতে না যেতেই ফাহিম পিতার সেই ইয়াবা ব্যবসায় সাথে জড়িয়ে পড়েন। পরে তার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করে পু্লিশ। এক পর্যায়ে ফাহিম টেকনাফ চৌধুরী পাড়া থেকে আটক হয় র্যাবের হাতে। র্যাব তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে সে জামিন বের হয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। ফাহিমের ছিলো লুতু মিয়ার পূর্ব পরিচিত সে সুবাদে লুতু মিয়া ফাহিমের হাত ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্র ছাঁয়ায় ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ইয়াবা ব্যবসার মূল কেন্দ্র হিসাবে কক্সবাজার ঝাউতলা এক নামি-দামি হোটেল থেকে পরিচালনা করে বলেও জানা গেছে। কিন্তু লুতু মিয়ার পরিবার রোহিঙ্গার নাগরিক সেটা এলাকার সবাই জানার সত্বেও ভয়ে নিশ্চুপ এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী হওয়া সত্বেও এখনো প্রশাসন গ্রেফতার করতে পারছেনা।

এলাকাবাসী বলছে, প্রশাসনকে টাকা দিয়ে তারা চলছে। গ্রেফতার হচ্ছেনা।

মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, বিষয়টি আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। এসব বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। খুব শিগগির আপনারা একটা ফলাফল পাবেন।

এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা