মুমিন মাসুদ
মিডিয়াগুলো মসজিদে জামাতে নামাজ বন্ধে যতটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ততটা বাজার কিংবা আড্ডা বন্ধের ব্যাপারে জোর দিচ্ছে না। বিষয়টা ভাবাচ্ছে। মসজিদে নামাজ বন্ধ করাটা সময়ের দাবি ছিল। এটা বন্ধের কারণে অন্তত মানুষ করোনা নেটওয়ার্ক থেকে কিছুটা আইসোলেটেড।
বাজারে গল্প-আড্ডা চলতে থাকলে বাংলাদেশ নয়া ইতালিতে প্রবেশ করবে। তখনও সংবাদ মাধ্যমগুলো “মধ্যম আয়ের দেশ” হওয়ার খবরের মতো ইতালিতে পরিণত হওয়ার খুশিতে মাতবে। আর কিছু বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যায় ভুগতে থাকা মানুষ করোনা, বিজ্ঞান আর সৃষ্টিকর্তার মাঝে তুলনা করা শুরু করেছে।
সরকার প্রদত্ত সাহায্যের অংশ হিসেবে “চাল” চলেছে চোরের হাতে। দেশের সব চেয়ারম্যানকে হঠাৎ করে চালচোর মনে হতে থাকে। চালচুরিতে ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হবার ভয়ে সরকারদলীয় কর্মীরা বিএনপি আমলের “টিনচুরির” কাব্য খুলে বসেছে।
কিছু বিড়িখোর বিড়ির এটিএম বুথ বানিয়েছে। যেখানে দোকানের একটি বর্গাকার ছিদ্র দিয়ে টাকা দিলেই বেরিয়ে আসে তরতাজা বিড়ি। আবার কিছু হুজুর ঘোষণা দিচ্ছেন মুসলমানের করোনা হয়না। যাতে নিজের ব্যাবসা বাঁচে। এদিকে মাস্ক আর সেনিটাইজার, হেক্সিজল, নাপা, ফেক্সো, হিস্টাসিন ও কাশির ঔষধের দাম বৃদ্ধি করেছে ব্যবসায়ীরা।
এসবের ভিড়ে আমার স্বার্থ কেন আমি খোঁজবনা?? মিডিয়া, চেয়ারম্যান, সরকারদলীয় কর্মী, হুজুর ও ব্যাবসায়ীরা সকলেই যেখানে নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। এই যুদ্ধে শুধু কিছু মানুষকে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। একদল ডাক্তার, মানবিক পুলিশ/প্রশাসন আর করোনাভীতিকে পরাজিত করে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া কিছু তরুণ (সরকারদলীয় বা স্বেচ্ছাসেবক)। ইতিহাস যেমন ক্যাপ্টেন মাজেদকে ক্ষমা করেনি তেমনি আজকের দিনে আইসোলেশনের নামে গর্তে বসে/লুকিয়ে থাকা জাতির বিবেকদেরও ক্ষমা করবে না।
লেখক: সাবেক সহ-সভাপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি
এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা