ডোপ টেস্টের জন্য নির্দিষ্ট ঘর থেকে বেরিয়ে ড্রেসিং-রুমে পৌঁছলেন মেসি। কিন্তু মিলল না কোনো সহ-ফুটবলারের দেখা। কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দেও নেই সেখানে। এক মুহূর্ত সময় সেখানে ব্যয় না করেই মেসি টানেল দিয়ে সোজা হাঁটা লাগালেন টিমবাসের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেখানেও বিধি বাম। তাকে ফেলে রেখেই যা ততক্ষণে পাড়ি দিয়েছে বিমানবন্দরের দিকে। কিছুই তখন আর ভাবতে পারছেন না লিও। বার্সেলোনার সঙ্গে তার আত্মার সম্পর্ক। লা মাসিয়া মেসির শিশুশয্যা, ন্যু ক্যাম্প যৌবনের উপবন। সেই বার্সেলোনা টিম বাস তাকে ফেলে চলে গেল! পরে লিভারপুল কর্তৃপক্ষ আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন। তাতে চড়েই বিমানবন্দরে পৌঁছে লুই সুয়ারেজ-জর্ডি আলবাদের সঙ্গে বার্সেলোনার ফেরার ফ্লাইট ধরতে হয় মেসিকে।
স্পেনের এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানবন্দরে পৌঁছে সহ-ফুটবলার কিংবা কোচের উপর বিন্দুমাত্র বিরক্তি প্রকাশ করেননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা। চুপ করে বসেছিলেন ফ্লাইটেও। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ন্যু ক্যাম্পে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মেসি। যা রক্ষার জন্য তার চেষ্টায় বিন্দুমাত্র খামতি ছিল না। কিন্তু লিভারপুলের অতুলনীয় কামব্যাক সব ভেস্তে দিল এক লহমায়। গত সপ্তাহে ন্যু ক্যাম্পে তাঁর দুরন্ত জোড়া গোল মূল্যহীন হয়ে গেল অ্যানফিল্ডে। জেরার্ড পিকে-ক্লেমেন্ত লেঙ্গলেটদের শিশুসুলভ ভুল নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি লিও। লন্ডনের একাধিক সংবাদমাধ্যম তাঁর মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করেও বিফল হয়েছে।