নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধভাবে দেশের ক্ষমতা দখলের পর একসময় রাজনৈতিক দলের নামে দেশবিরোধী চক্রদের নিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই, ১৯৮১ সালের নিউ নেশন পত্রিকায় বিএনপির ধ্বংস ও পতনের ব্যাপারে ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছিল। সেখানে জিয়াউর রহমানের শাসনের ব্যাপারে বলা হয়: রাষ্ট্রব্যবস্থা ধ্বসে পড়ার মুখে। পরিস্থিতির অবনতি হলে বিএনপি সেই ধাক্কা সামলাতে পারবে না। সম্ভবত বিএনপি নিজেই নিজের ধ্বংসের কারণ হবে। এই দলের সদস্যদের অধিকাংশই সীমাহীন লোভ, দুর্নীতি এবং সুবিধাবাদি গোষ্ঠীর। এরা একদিন নিজেদের পাতা ফাঁদে পড়েই শেষ হয়ে যাবে।
সেই ভবিষ্যতবাণী বোধহয় আজ বাস্তব চিত্রে ধরা দিয়েছে। জিয়া পরিবারের দুর্নীতি, দেশবিরোধী কার্যক্রম, জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততা এবং দলের লোকদের কার্যক্রমের কারণে দলটি এখন কোনঠাসা হয়ে গেছে বলে দাবি রাজনীতিবিদদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র-বিজ্ঞানী সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কর্তৃক পরিচালিত ১৯৮৪ সালের একটি গবেষণায় নিউ নেশনের এই ভবিষ্যতবাণীর কথা বলা হয়েছে। সেখানে বিএনপির প্রকৃতি সম্পর্কে আরো বলা হয়- বিএনপি আসলে কোনো রাজনৈতিক দল নয়। বরং অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ও স্বর্থান্বেষী গ্রুপের একটি সন্নিবেশ এটি। যারা জিয়াউর রহমানের ছাতার নিচে সমবেত হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় উগ্রবাদী গ্রুপ ও উগ্র বাম; সৃষ্টির শুরু থেকেই সংঘাত-উস্কানির মাধ্যমেই এই দল পরিচালিত হয়েছে।’ কারণ এদের মূল লক্ষ্য সবসময় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করা।
গবেষণা জর্নালে আরো বলা হয়- বিএনপি শুরু থেকেই জনসমর্থন ও জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা রাখেনি। উল্টো এই দলে পদায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় শাসক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে কতিপয় ব্যক্তি। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালানো, তাদের জেলে পুরে রাখা, প্রভৃতি জবরদস্তিমূলক কাজের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠ খালি করে। শুধু অস্ত্র ও পেশী শক্তি ব্যবহার করে আদর্শহীন কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দাঁড়িয়ে গেছে দলটি।
এমএইচ/বাংলাবার্তা