নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফৌজদারি অপরাধ সংক্রান্ত সকল প্রকার মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় আপোস করার ক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ভোলা জেলার এক শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির জামিন শুনানিকালে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। এসময় আদালত বলেছেন, একটি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় আপোস করার এখতিয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্যের নেই।
শুনানি শেষে বিচারাধীন মামলাটি আপোষ করায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভোলা জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ফজলু দফাদার (৭২) সাত বছরের শিশু ধর্ষণের দায়ে কারাগারে আছেন।
গত ১১ জানুয়ারি আসামি ফজলু দফাদার কারাগারে অসুস্থ উল্লেখ করে জিন্নাগড় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এ মামলার বাদী ও বিবাদীপক্ষ আপোস করে। এতে মামলার বাদী আলী আকবর ছাড়াও জিন্নাগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হোসেন মিয়া এবং তিন ইউপি সদস্যসহ ৬ জন উপস্থিত ছিলেন। আপোষনামায় তারা উল্লেখ করেন, আসামির বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের কোনো অভিযোগ না থাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু মামলা নং ৪৬০/১৯ থেকে জামিন পেতে কোনো আপত্তি নেই।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই আপোষনামা সংযুক্ত করে আসামি ফজলু দফাদার হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার আপোসনামার বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হাইকোর্টের নজরে আনলে আদালত এমন মন্তব্যসহ আদেশ দেন।এরই মাধ্যমে ফৌজদারি অপরাধ সংক্রান্ত চলমান কোন মামলা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে আপোষ করানোর পথ রুদ্ধ হলো।
এএম/এমএইচ/বাংলাবার্তা