নিজস্ব প্রতিবেদক: দলের জন্য নিবেদিত মানুষ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল হুদা। জানা যায়, বিএনপি সময়কালে বোয়ালখালীতে হামলা-মামলার স্বীকার হওয়া মানুষগুলোর মধ্যে অন্যতম তিনি।
সেসময় ৭টি মামলা সহ অনেক নির্যাতনেরও ইতিহাস রয়েছে তার। তবে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পরও নুরুল হুদার পাশে কেউ দাঁড়াননি বলে গুঞ্জন রয়েছে। এ নিয়ে আক্ষেপ প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতাদের।
প্রবীণ আওয়ামী নেতারা বলেন, নুরুল হুদাকে আমরা স্কুল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে দেখেছি। দলের ক্রান্তিলগ্নে তিনি ছুটেছেন। দল থেকে কিছু না পেলেও বিরোধী দল থেকে অনেক হামলা-মামলা সহ্য করেছেন। তিনি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে সবসময় সাধুবাদ জানিয়েছেন। মানুষের সেবায় তিনি হাত বাড়িয়েছেন।
জানা যায়, ১৯৮৬ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী এস এম আবুল কালামের সাথে জাতীয় পার্টির মোরশেদ খাঁন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তখন ৮নং শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নে নুরুল হুদাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক করা হয়। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেসময় পুলিশ দ্বারা নুরুল হুদা চার ঘন্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে নুরুল হুদার নেতৃত্বে বোয়ালখালী উপজেলা থেকে ২৫-৩০ জনের ছাত্রলীগের একটিগ্রুপ ঢাকায় যান। ওইদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সর্বপ্রথম সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে রওনা হন নুরুল হুদার নেতৃত্বে। মিছিলটি সচিবালয়ের দিকে এলে পুলিশ, বিডিআর এর গুলিবর্ষণ শুরু হলে পুলিশের গুলিতে তাদের একজন মারা যান।
তৎকালিন সময়ে দলীয় সকল কর্মসূচিতেও তিনি ছিলেন সক্রিয়। হরতাল-অবরোধে অগ্রণী ভূমিকা ছিলো নুরুল হুদার। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪বার।
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদিঘীর মাঠে আওয়ামীলীগের জনসভায় শেখ হাসিনার আগমনে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে অনেক নেতাকর্মী আহত হন। সেসময় লালদিঘীর পাড় থেকে নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৯৫ সালে, ২০০২ সালে এবং সর্বশেষ ২০০৫ সালে গ্রেপ্তার হন তিনি। কয়েকটি মামলায় কারাগারেও ছিলেন নুরুল হুদা। এছাড়াও তৎকালীন সময়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে নুরুল হুদা। এতে আতঙ্কিত হয়ে নুরুল হুদার মা অসুস্থ ও পঙ্গু হয়ে যান বলে জানা গেছে।
এমএইচ/বাংলাবার্তা