মাতারবাড়ীর বাদশাহ দালালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ: ক্ষুব্ধ জমির মালিকরা

মো: কাইছার হামিদ

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে দাবী আদায়ের নামে মানববন্ধন ও এনজিও অফিসকে ঘিরে দালালি কাজে ব্যস্ত রয়েছে সিকদার পাড়া গ্রামের বাদশাহ নামের এক ব্যক্তি বলে অভিযোগ উঠেছে। তার লাগাতার দালালি কারনে অবশেষে ড্রপ এনজিও অফিসকে বদরখালীতে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ । এতে ক্ষুব্ধ জমির মালিকরা।
ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সিঙ্গাপুর প্রকল্পের জমির মালিকরা তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে দিন দিন।

জানাগেছে, উপজেলার মাতারবাড়ীতে বৃহৎ কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প করার জন্য জাপানী সংস্থা জাইকার অর্থয়ানে অধিকগ্রহণ করা হয়েছে ১৪১৪ একর ও সিঙ্গাপুরের অর্থায়নে অধিকগ্রহণ করা হয়েছে ১২০০ শত একর জমি। জমির মালিকরা জেলা ভূমি অধিকগ্রহণ শাখা থেকে চেক তোলার পর উক্ত চেকের বিপরীতে জাপানি সংস্থার ১৪’শ ১৪ একর ভূমির মালিকরা এককালীন ক্ষতিসহ ২১ ক্যাটাগরীর টাকা উত্তোলন করবে সুশিল এনজিওর মাধ্যমে।

সিঙ্গাপুর প্রকল্পের ১২’শত একর জমির মালিকরা টাকা উত্তোলন করবেন ড্রপ এনজিও’র মাধ্যমে। অভিযোগ উঠেছে সিকদার পাড়া বাদশাহ নামে এক দালাল ড্রপ অফিসকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে ঘাপটি মেরে দখল করে রেখেছে উক্ত অফিসটি। এমনকি বিভিন্ন জনকে টাকা উত্তোলন করে দেওয়ার আশ্বস্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকের কাজ থেকে বহু টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানিয়েছেন। তবে বাদশাহ দালালের পক্ষে সিকদার পাড়া কিছু নামদারী রাজনীতিবিদও উল্লেখিত কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন বলে সচেতনমহল জানান। বিষয়টি নিয়ে সোস্যাল মিড়িয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তোলপাড় সৃষ্টি হলে বদনাম এড়াতে ড্রপ অফিসটি গোপনে স্থানান্তরিত হয়।

বিষয়টি দীর্ঘদিন গোপন থাকলে সম্প্রতি সময়ে ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর উক্ত রক্তচুষা দালালের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের একটি অংশ তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে। অপরদিকে জমির মালিকদের এসব কর্মে ক্ষোভ ও তার দালালি দামাচাপা দিতে দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকার ক্ষতিপুরণ নামে মাত্র মানববন্ধনের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকের কয়েকজন জানান, মানববন্ধনের নামে চক্রটি প্রতিজন থেকে ১ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা হাতিয়ে নিয়েছে। এ পর্যন্ত এর কোন প্রতিকার পায়নি তারা। অভিযোগ উঠেছে, সরকারের চলমান মেগা প্রকল্পকে ঘিরে দাবি আদায়ের মানবন্ধনের নামে প্রকল্প ঘিরে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে ক্ষমতাসীনদলের একটি অংশ জানিয়েছেন।

অভিযুক্ত বাদশাহ জানান তিনি আত্মীয়-স্বজন ১৫-২০ জনের ফাইল জমা করে টাকা উত্তোলন করেছে শিকার করেন। কিন্তু অন্য বিষয় কৌশলে এড়িয়ে যান অভিযুক্ত।

এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা