মহেশখালীতে ৩৯ শতক সরকারী জায়গা উদ্ধার করলো এসিল্যান্ড

মো. কাইছার হামিদ

প্রভাবশালী ভূমি দস্যুর কবল থেকে প্রায় এক কানি বা ৩৯ শতক সরকারী জায়গা উদ্ধার করেছেন মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুইচিং মং মারমার।

৩ জানুয়ারী রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রশাসনের উপস্থিতিতে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা খাস জমির স্থাপনা গুড়িয়ে দেয় পুলিশ।

স্থানীয়দের তথ্যানুযায়ী এদাঞ্চলের যতসব অপকর্মের মুল হোতা পাহাড় খেকো ছোট মহেশখালী ইউপি নির্বাচনের নৌকা প্রতীক প্রত্যাশি রিয়ান সিকদার, তার সহোদর ভাই আওয়ামীলীগনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার। জানা যায়,
ছোট মহেশখালী মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে৷ অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি মহেশখালী থানা পুলিশও ছিলো। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এই রকম অনেক খাস জমি প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে তা পর্যায় ক্রমে উদ্ধার করা হবে বলে জানান উপজেলা প্রশাসন। এদিকে র্দীঘদিন পর সরকারী খাস জমি উদ্ধার করায় স্থানীয়রা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানান ৷

উল্লেখ্য, ছোট মহেশখালীর পাহাড় খেকো হিসাবে পরিচিত রিয়ান সিকদার ও তার ভাই জহিরুল ইসলাম সিকদার, সিরাজুল মোস্তফা সিকদার, নুরুল ইসলাম সিকদার, জাহেদ সিকদার গং প্রতিনিয়ত সরকারি জায়গা দখল ও পাহাড়ের মাঠি ও গাছ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি রিয়ান সিকদারে ভাই ভূমিদূস্য জাহেদ সিকদারের মালিকাধীন ডাম্পার গাড়ী অবৈধ ভাবে পাহাড়ের মাঠি কাটার সময় মাটি ভর্তি ৩টি গাড়ি জব্দ করেছিল উপজেলা প্রশাসন। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় জরিমানা হলেও থেমে নেই তাদের অপকর্মের কর্মকান্ড! গত ৩০ ডিসেম্বর পাহাড় থেকে চুরি করে মাদার গর্জন গাছ পাচারকালে বনকর্মীরা অভিযান চালিয়ে রিয়ান সিকদারে ডাম্পারসহ তার চাচাত ভাই সোনা মেম্বারের ১৩পিচ গাছ জব্দ করেছিলো। পরে বনকর্মী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চেয়ারম্যানের জিম্মায় ডাম্পারটি কৌশলে ছেড়ে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ ওঠে। ক্ষমতাশীন দলের নাম ব্যবহার করে জিম্মায় রেখেছে দেশের একমাত্র পাহাড় সমৃদ্ধদ্বীপের পাহাড়।

মহেশখালী নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, সরকারি জমি অবৈধভাবে দখলের খবর পেলেই অভিযান চালানো হবে এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা