সোহরাব সাহল:
বহুল আকাঙ্ক্ষিত ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) আজ থেকে হাতে পেয়েছে চট্টগ্রামের মানুষ। লকডাইনের মধ্যেও সরকারের এ ধরনের কাজের অগ্রগতিকে সাধুবাদ জানিয়েছে অনেকেই।
চট্টগ্রাম ই-পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ই-পাসপোর্ট চালু হলেও এমআরপি প্রদান এখন বন্ধ হচ্ছে না। দুই ধরনের পাসপোর্টই চালু থাকবে। বিদ্যমান ফি দিয়ে এমআরপি পাওয়া যাবে। আবেদনকারীর আবেদনের ভিত্তিতে ই-পাসপোর্ট এবং এমআরপি প্রদানের বিষয়টি নির্ধারিত হবে।
তারা আরো জানান, আগে দেশের বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন গড়ে পঁচিশ হাজার মানুষ নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলেও; বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বায়োমেট্রিক কার্যক্রম অনেকটা বন্ধ রয়েছে। সীমিতভাবে কিছু কর্মকাণ্ড চলছে।
জানা যায়, বিশ্বের ১১৯ নম্বর দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট চালু করেছে। পাঁচ বছর এবং দশ বছর মেয়াদের দুই ধরনের ই-পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে। তবে কাল চট্টগ্রামে পাঁচটি ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট সংশ্লিষ্টদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
চট্টগ্রামে আজ দেয়া প্রতিটি পাসপোর্টের মেয়াদ দশ বছর। দেশে এই প্রথম দশ বছর মেয়াদের পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে। অবশ্য ৫ বছর মেয়াদের ই-পাসপোর্টও রয়েছে। পৃষ্ঠাসংখ্যাও হবে দুই ধরনের। এক ধরনের বইতে ৪৮ পৃষ্ঠা, অপর ধরনের বইয়ে থাকবে ৬৪ পৃষ্ঠা।
পাসপোর্টের ফি-ও নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠার ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা। অপরদিকে ১০ বছর মেয়াদের ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা। এই ফি’র সাথে বাড়তি ফি যোগ করে জরুরি এবং অতি জরুরি পাসপোর্ট নেয়ার সুযোগ থাকবে। তবে করোনাকালে এসব সুবিধা কার্যকর হবে না।
এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা