বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বয়স ৭০ ছুই ছুই। চুল থেকে দাড়ি সবই সফেদ। ছেলের সাফল্য দেখতে ৪শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন ঢাবির ৫২ তম সমার্বতন স্থলে। বাবার খুশির সীমা নেই। এ যেন তার বাধ ভাঙ্গা খুশি। বৃদ্ধ বয়সে এসে তিনি সফল। ছেলের সাফল্যেকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে।
ছেলের গায়ে কালো গাউন আর কালো টুপি। মুখে ও অকৃত্রিম হাসি। বাবা খুশি হয়েছেন ছেলের সাফল্য দেখে। ছেলে খুশি হয়েছেন বাবাকে কাছে পেয়ে। এ যেন দুজনের অকৃত্রিম ভালোবাসা।
বলছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা মোহাম্মদ ওমর ফারুকের কথা। তিনি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে। ভর্তি হয়েছিলেন ২০১৪ সালে। নানান অর্জনের মধ্যে এবার সমার্বতন অনুষ্ঠানে বাবাকে কাছে পেয়ে সনদটা হাতে পাওয়া। সেই সনদে বাবার হাতে ছোঁয়া এ যেন অন্যরকম অনুভূতি।
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার দক্ষিণ কাকারা গ্রামে মোহাম্মাদ ওমর ফারুকের বাড়ি। বাবা আব্দুচ ছালাম। মাতা আনজুমান আরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ছেলের অর্জন নিজ চোখে দেখতে প্রায় ৪শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে এসেছেন ফারুকের বৃদ্ধ বাবা।
অনুভূতি ব্যক্ত করে মোহাম্মাদ ওমর ফারুক বলেন, বাবাকে কাছে পেয়ে অনেক বেশি অনন্দ লাগছে। মনে হচ্ছে আজ আমি সত্যিকারের সফল। যে মানুষটি জীবনের সবটুকু দিয়ে আমাকে আজ এ পর্যন্ত নিয়ে এসে দাড় করিয়েছেন এমন মানুষটাকে সাথে নিয়ে মূল্যবান সনদটি হাতে নিতে পেরে।