যে কারণে প্রশংসা কুড়াচ্ছে মিদহাদ আহমদের ‘পড়শি বসত করে’

মূর্ধন্য দিপু, বাংলা বার্তা
অমর একুশে গ্রন্থকেলা ২০২০ এ পাপড়ি থেকে বেরিয়েছে তরুণ লেখক মিদহাদ আহমদের গ্রন্থ “পড়শি বসত করে”
গ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন,তানজিদ ইকরাম।
মিদহাদ আহমদ গ্রন্থটি সম্পর্কে বলেন,বইটা এককথায় একজন মধ্যবিত্ত শিক্ষকের জীবন চিত্রকে প্রতিনিধিত্ব করে।বইটার মধ্যে একজন শিক্ষকের জীবন চিত্র এবং পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।তার সাথে অল্প একটু অতিপ্রাকৃত গল্পের সামঞ্জস্যতা রেখে,কাহিনী এগিয়ে গিয়েছে।

বইটি সম্পর্কে কবি কালাম আজাদ বলেন,
এগুলো জীবনের বাস্তব প্রতিনিধিত্ব করে।বইটার মধ্যে সুচারুভাবে শিক্ষকের জীবন ফুটে উঠেছে।কাহিনী কেবল কাহিনীর অন্তরালে নয় বরং এর মধ্যে ফুটে উঠেছে চরম বাস্তবতা।

জনপ্রিয় লেখক আলী ইমাম বইটির ফ্ল্যাপে লিখেছেন, পৃথিবীর অনিকেত মানুষগুলোর জন্যেই দুনিয়া যতসব কর্কশ দৃশ্য ধরে রাখে। এই যেমন আমাদের গল্পের সাহেব! মধ্যবিত্ত স্কুল মাস্টারের কাছে পৃথিবীর একটি হারিয়ে যাওয়া দিক উন্মোচিত হয় ছাত্রের মাধ্যমে। ছাত্র তানিশার ছেলে।তানিশা কে? সে এক গল্প! শুধু এতটুকু বলা যায়, সাধারণ গাল্পিকতা ছাড়িয়ে বহুদূর অবধি এই কাহিনীর বিস্তৃতি।
দরকার ছিল না এই গল্পের, প্রয়োজন ছিল না তানিশার হঠাৎ এই আবির্ভাবের, কিন্তু পৃথিবীতে কত ঘটনাই তো ঘটে প্রয়োজন ছাড়া! চেনাজানা গণ্ডির অচেনা আবিষ্কারেই তো ভরে ওঠে মানুষের অন্তরের তাকগুলো! গল্পের সাহেবের বেলায়ও তাই ঘটেছে। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এই উপন্যাস লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর মিদহাদ আহমদের দ্বিতীয় উপন্যাস।
‘পড়শি বসত করে’ পাঠকের হৃদয় জয় করে নেবে বলেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আসলে, সত্যি বলতে, জীবন অভিজ্ঞতা বলে, এমন পড়শিদের বসত করতে হয়, এরা বসত করে।পুরো উপন্যাসে শারীরিক উপস্থিতি না থাকার পরও তানিশার এরূপ উপস্থিতি লেখকের সৃজনশীলতা ও দক্ষতারই পরিচায়ক।লেখকের সামনের দিনগুলা,মসৃণ হোক।বয়সে লেখক অষ্টাদশের কাতারে থাকলেও,লেখার প্রজ্ঞায় পান্ডিত্যের জাহির প্রতি স্তবকে স্তবকে।

ঔপন্যাসিক হিসেবে মিদহাদ আহমদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি। পাঠক, যাঁরা এই উপন্যাসটি পড়বেন, আমি হলফ করে বলতে পারি, আপনাদের ঠকতে হবে না। ভিন্ন ঘরানার এই কাহিনীর প্রতিটি জালিকার বুনট উপভোগের আমন্ত্রণ জানাই সকলকে।

বার্তা/আরএইচ