মাহমুদ হাসান, বিশেষ প্রতিবেদক
ইয়াবার ছোঁয়ায় রাতারাতি ধনী বনে যাওয়া এ ব্যক্তির নাম এনামুল হক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৈরিকৃত মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় নাম থাকা এ ব্যক্তিকে এলাকায় সবাই চেনে ‘এনাম ডাকাত’ নামে। বর্তমানে কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তিনি।
কিছুদিন আগেও যার পেশা ছিলো ছোলা মুড়ি বিক্রি করা। সেই এনাম ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে রাতারাতি বদলে যায় তার পরিচয়। টাকার গরমে যাচ্ছেতাই করতে শুরু করেন। অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন এলাকাজুড়ে। ভূমি দখল থেকে শুরু করে অবৈধ সব কাজই যেন তার রুটিনে পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধ বানিয়ে দিয়ে অর্থ লাভের সঙ্গে তাদের দিয়ে অবৈধ কাজের বিস্তৃতি ঘটান এনাম। এছাড়াও টাকার জোরে ক্ষমতাসীন নেতাদের আশ্রয় লাভ করে বাগিয়ে নেন ইউপি সদস্য পদ।
ইয়াবা ব্যবসা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার অঙ্গিকার দিয়ে টেকনাফ পাইলট হাই স্কুল মাঠে ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত তৎকালিন ওসি প্রদিপের সহায়তায় আত্মসমর্পণ করেন। তখন জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়ে আবারও ইয়াবা সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন এনাম। যার ফলে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি ২০০২ সাল থেকে ব্যবসা করছি। ব্যবসার টাকা সীমিত। অথচ এনাম কি এমন ব্যবসা করে এতো দ্রুত কোটি টাকার মালিক হয়েছে এটাই সবার প্রশ্ন। পরে জানতে পারি সে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান বাংলাবার্তাকে বলেন, তার বিরুদ্ধে থানায় অনেক অভিযোগ রয়েছে। তবে টাকার জোরে পুলিশের সঙ্গে সখ্যতা করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সহকারী অফিসার বেদারুল ইসলাম বাংলাবার্তাকে বলেন, এনামের মাদক ব্যবসার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এবং আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা এবং তথ্য সংগ্রহ করার জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা