বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বিশিষ্ট সাহিত্যিক, লেখক ও গবেষক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন বিশ্বের অন্যতম পাহাড় বেষ্টিত একমাত্র দ্বীপ মহেশখালী মরুভূমিতে পরিণত হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার যে দ্বীপে জন্ম সে দ্বীপের নাম মহেশখালী। এ বর্তমান সরকার পরিকল্পনা করছে জাপানের সাথে সেখানে একটা নয় দুটো নয় তিনটে নয় পাঁচটা নয় পনেরোটা কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করবে। কক্সবাজার জেলায় বা কক্সবাজার শহরের ৫০ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে এরকম ১৭ টা হবে।
তিনি আরো বলেন, সেখানে কি জীবন থাকবে? আমার মা-বাবার কবর আছে ওখানে। আমাকে কবর জিয়ারত করতে যেতে হবে ওখানে।আমি লিখে দিতে পারি ৩০ বছরে ওখানে একটা মানুষও থাকবে না। এটা তো আমি জানি। জেনে কিভাবে বিষন্ন না হয়ে বসে থাকতে পারি। আমিতো জানি ৩০ বছরের মধ্যে মহেশখালী থাকবে না। মহেশখালী হচ্ছে একমাত্র দ্বীপ। যেখানে ৪০-৫০ মাইল মতো পাহাড়ি এলাকা আছে। সেখানে সরকারি সংরক্ষিত পাহাড়ি বন আছে। সেখানে হরিণ আছে একসময় সেখানে বাঘ ছিল। সব লুপ্ত হয়ে গেছে। এখন যেটা হচ্ছে সেখানে তো একটা জনপ্রাণী ও থাকবে না। জেনে শুনে আমি বিষ পান করতেছি। আমি তো দেখতে পাচ্ছি। আমার জন্মভূমি মরুভূমিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। মহেশখালী কি দোষ করল। যদি রাজনৈতিক কোনো ন্যায় বিচার থাকতো। একটি দ্বীপে আপনি কেন পনেরোটা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করবেন? বিশ্বের অন্যান্য দেশে আমরা দেখেছি যেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হয় তার আশপাশের ৫০ কিলোমিটার মধ্যে কোন জনপ্রাণী থাকতে পারে না। মহেশখালীতে কোন রাজনৈতিক শৃঙ্খলা নাই বলে এটা সম্ভব হচ্ছে।