নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরুর বিরুদ্ধে এক সাংবাদিককে হুমকি ও গালমন্দের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগকারী সাংবাদিক কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভয়েস বিডি’র সম্পাদক, কালের কন্ঠ শুভ সংঘ ও মনোহরদী সাংবাদিক ফোরামের উপদেষ্টা।
একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে উপজেলা চেয়ারম্যান মোবাইল ফোনে তাকে হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে জানা যায়। হুমকি ও গালিগালাজের ঘটনায় ঐ সাংবাদিক শেরেবাংলা থানায় জিডি করতে গেলে লকডাউন থাকায় থানা জিডি গ্রহণ করেনি। এরপর ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ দাখিল করেন শাকিল।
এ বিষয়ে সাংবাদিক শরীফুল ইসলাম শাকিল বলেন, গতকাল (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১:৩০ এর দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান বীরু সাহেব আমাকে মোবাইলে কল করে বিকৃত, কুরুচিপূর্ণ ও অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করে। ওনার অনুমতি ছাড়া কিছু লিখা যাবে না। এ সময় উনি, ‘শালার ব্যাটা তোর খবর আছে’ বলে হুমকিও দেন। এমতাবস্থায় আমি ক্ষতির আশঙ্কা করছি।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৩ মিনিটের অডিওটি শুনে সাংবাদিক শাকিলের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এদিকে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া কথোপকথনের কথা স্বীকার করলেও হুমকি ও বকাঝকার বিষয়টি অস্বীকার করে মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান বীরু বলেন, “শাকিল আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ করে না। দীর্ঘদিন ধরেই সে আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার করে আসছে। আমি কল করে শুধু একটা ধমক দিয়েছি। আমি বলেছি আমাকে ভালো না লাগলে আমার ভালো খারাপ কিছুই লেখার দরকার নেই। আমি সর্বোচ্চ চেস্টা করি আমার উপজেলার মানুষের সেবা করার জন্য। আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। করোনার মহামারীতে সরকারের নির্দেশ মেনেই কাজ করে যাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল করোনায় এলাকাবাসীর পাশে না উপজেলা চেয়ারম্যানের না থাকার বিষয় উল্লেখ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন শাকিল। স্ট্যাটাসটি ছিল— “মনোহরদী উপজেলার চেয়ারম্যান জনপ্রতিনিধি, ওনি চাকরি করেন না। সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহন করিয়া এই দূর্দিনে জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে ঢাকায় বসে আছেন?জনগণের বিপদে হারিকেন জ্বালিয়েও ওনাকে খোঁজে পাওয়া যায় না। নিজের পকেট থেকে গরিব মানুষের জন্য সাহায্য করার মন মানসিকতা না থাকলে ভোটে দাঁড়ান কেন?
শিক্ষা নিন আশেপাশের উপজেলা চেয়ারম্যানরা কি করছে?পলাশ ;শিবপুর ;নরসিংদী সদর চেয়ারম্যানগন।আমাদের পাশের উপজেলা বেলাবরের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আপা নিজের একাউন্টের সম্মানি ভাতা এবং ভাইদের বেতন নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে।আর আপনার ভূমিকা জনগণ বিচার করবে।মনোহরদীর জনগণ এত সম্মান দিল তার বিনিময়ে আপনি এই বিপদে কি দিলেন? পাঁচ বার উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন।বি:দ্র: জনগণের সেবা ছাড়া যদি চেয়ারম্যান হওয়া যায় জনগণের খবর নেওয়ার কি দরকার?”
এসএস/এমএইচ/বাংলাবার্তা