বিশেষ প্রতিদিনিঃ
কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার মজনু মিয়ার বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ায়। মজনু নোয়াখালীর স্থানীয় ভাষায় কথা বলেন। তার কয়েকটি দাঁত নেই। ধর্ষকের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির মতো। গায়ের রং শ্যামলা, গড়ন মাঝারি। এসব বর্ণনার ওপর নির্ভর করে তদন্ত শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
৩০ বছর বয়সী এ যুবক একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে উল্লেখ করেছে র্যাব। র্যাব জানায়, বিভিন্ন সময় ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করেছে বলেও স্বীকার করেছে মজনু।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম এ তথ্য জানান। র্যাব আরও জানায়, মজনু মিয়া মাদকাসক্ত। তিনি ছিনতাইও করতেন। মূলত কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে র্যাব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে আটকের পর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে র্যাব। মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টার অভিযানের পর বুধবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে তাকে আটক করা হয়। ঘটনার পর বিমানবন্দর রেল স্টেশন থেকে তিনি নরসিংদী চলে যায়। পরে আবার ফিরে রাজধানীতে। তিনি বিমানবন্ধর-শেওড়া এলাকায় ভবঘুরে থাকতো।
তিনি বলেন, মজনুর বাড়ি নোখালীর হাতিয়ায়। তিনি বিবাহিত হলেও বর্তমানে তার সঙ্গে পরবিারের কারও সর্ম্পক নেই। ১২ বছর আগে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার পথে এক দুর্ঘটনা তার দুটি দাঁত ভেঙ্গে যায়। ভাঙ্গা দাঁত দিয়ে তাকে সনাক্ত করতে সুবিধা হয় বলে জানান এ র্যাব কর্মকর্তা।
এর আগে গত রোববার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে অজ্ঞাত এক যুবক। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ৩০-৩৫ বছরের এক যুবককে আসামি করা হয়।