ফাহিম হাসান
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলিম নিধন যখন চরম পর্যায়ে। চীন থেকে ভারত, কাশ্মীর থেকে ইসরাইল, মায়ানমার, ইরান কিংবা ইরাকে স্বয়ং রাষ্ট্রযন্ত্র যখন এমন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। ঠিক তখনি পুরো বিশ্বে করোনা নামক মহামারীর আবির্ভাব।
সৃষ্টিকর্তা যুগে যুগে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি এবং করোনার মত মহামারী দিয়ে সীমালঙ্ঘনকারী এমন জাতিকে ধ্বংস করেছেন। দু’একটা জাতির এমন পাপের প্রায়শ্চিত্ত পুরো বিশ্বকে করতে হয়েছে।
এখনো যদি উইঘুর মুসলিম নিধনের ছবি, বা দিল্লিতে কাপড়খুলে মুসলিম নির্যাতনের ভিডিও কিংবা ইসরাইলি সৈন্যের অমানবিক নিষ্পেষণের ভিডিও দেখেন, সে আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন, স্থির থাকতে পারবেন না।
অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা আজ নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত, অথচ পুরো বিশ্ব চুপ। আবার মায়ানমারের অমানবিকতার খেসারত দিচ্ছি আমরা। জাতিসংঘ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ আসার পরেও পুরো বিশ্ব যেন গর্তে মুখ লুকিয়েছে। কেউ এ ব্যাপারে কোন কথা বলছে না।
অবস্থা দেখে মনে হয়, বিশ্বের মোড়লরা অলিখিতভাবে বৈধতা দিয়েছেন যে, সবাই এক হয়ে মুসলিম হত্যা করো, বিতাড়িত করো, নিধন করো। তোমাদের কেউ কিছুই বলবে না। সম্ভবত পুরো বিশ্বের এমন আচরণে সৃষ্টিকর্তার গজব স্বরুপ করোনা নামক মহামারি আবির্ভাব ঘটেছে।
এই মুহূর্তে চীনের উইঘুর, ভারতের নয়াদিল্লী, এবং ফিলিস্তিনের দিকে তাকান; দেখবেন প্রত্যেক দেশেই মুসলিম নির্যাতন বন্ধ হয়েছে। করোনার ভয়ে স্পেন, ইতালিতে মসজিদে আজানের অনুমতি দিয়েছে। গবেষক এবং ইসলামিক স্কলারদের পরামর্শ নিচ্ছে।
অনেকেই প্রশ্ন করবেন, মুসলমানদের তাহলে কেন করোনা হয়? অন্যান্য জাতির সীমালঙ্ঘনের দায়ভার মুসলিমরা কেন নিবে?
এমন প্রশ্ন একবার মুসা (আঃ) আল্লাহকে করেছিলেন; তিনি প্রশ্ন করেন বলেন; “হে মহান রব, একজনের পাপের প্রায়শ্চিত্ত সবাইকে কেন করতে হয়?”
আল্লাহ বলেছিলেন, “ঠিক আছে, আগামীকাল তুমি এ প্রশ্নের জবাব পাবে।”
সেদিন রাতে ঘুমাতে গিয়ে মুসা (আঃ) দেখলেন তাঁর বিছানার উপরে অনেক পিঁপড়া, পিঁপড়াগুলোকে ঝাড়ু দিয়ে বিছানা থেকে ফেলে দিলেন তিনি। অনেক চেষ্টা করলেন ঘর থেকে বাইরে ফেলতে। ঠিক তখনি একটা পিঁপড়া তাঁকে কামড় দেওয়াতে তিনি সব পিঁপড়াকে পায়ে পিষ্ট করে মেরে ফেললেন।
পরের দিন আল্লাহ তাঁকে একই প্রশ্ন করলেন, “একটা পিঁপড়ার কামড়ের কারণে তুমি কেন সব পিঁপড়াকে পিষ্ট করলে?” মুসা (আঃ) পরে তাঁর প্রশ্নের জবাব পেলেন। আপনিও নিশ্চয়ই পেয়েছেন।
-হে প্রভু নিশ্চয়ই আমরা সীমালঙ্ঘন করেছি, আমাদের ক্ষমা করো। নিশ্চয় তুমি পরম করুণাময় এবং অসীম দয়ালু। কোন নির্দিষ্ট জাতি-গোষ্ঠীর জন্য পুরো বিশ্বকে সমাধিস্থল বানিয়ে দিও না।
এমন মৃত্যু দিও না, যে মৃত্যুতে সন্তান তাঁর বাবার লাশ কাঁধে নিতে পারে না। যে মৃত্যুতে গোসল হয়না, সন্তানরা কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বলতে পারেনা…..”রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছগিরা”