আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার দাবি করা হচ্ছে। করোনার অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় নেগেটিভ ব্যক্তিদের শরীরে কিছু পরিমাণ ইমিউনিটি থাকার সম্ভাবনা সুইডেনের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে।
সম্প্রতি অ্যান্টিবডি ও টি-সেলের জন্য ২০০ জনের পরীক্ষা করেছিলেন সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা। তাদের একটি অংশ ছিল রক্তদাতা এবং বাকিরা ছিল সুইডেনে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা। যারা ইতালি ফেরত ছিল।
অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় পজিটিভ আসা প্রতিটি ব্যক্তির দুটি নির্দিষ্ট টি-সেল শনাক্ত করা গেছে। যা সংক্রমিত কোষগুলো শনাক্তের পর ধ্বংস করে দেয়। একইসঙ্গে করোনাভাইরাসের মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গবিহীন রোগীদের ক্ষেত্রেও এ প্রবণতা দেখা গেছে। তবে টি-সেল কেবল আক্রান্ত ব্যক্তিকেই সুরক্ষা করছে নাকি অন্যকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করছে তা স্পষ্ট হয়নি।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, অ্যান্টিবডি পরীক্ষার চেয়েও বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কিছু মাত্রার করোনা ইমিউনিটি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকতে পারে। এসব ব্যক্তিদের অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া বিবর্ণ রূপ নিতে পারে। যা বিদ্যমান পরীক্ষা পদ্ধতিতে শনাক্তযোগ্য নয়।
এই গবেষণাকে ‘জোরালো, চিত্তাকর্ষক ও পূর্ণাঙ্গ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ড্যানি আল্টম্যান।
সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি ও টি-সেল উভয়ের উপস্থিতি শনাক্তের পরীক্ষা চালিয়েছেন। এতে অ্যান্টিবডি না থাকলেও অনেকের শরীরে টি-সেলের উপস্থিতি রয়েছে। এ টি-সেল করোনায় আক্রান্ত কোষকে শনাক্ত ও ধ্বংস করে।
প্রতি একজন অ্যান্টিবডিসহ রোগীর বিপরীতে এমন দুজন টি-সেলসহ ব্যক্তি পাওয়া গেছে। অ্যান্টিবডি ছাড়া টি-সেল থাকার বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। মানুষের শরীরে হয়তো অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হওয়ার প্রয়োজন হয়নি। অর্থ্যাৎ অ্যান্টিবডি উপস্থিতির ভিত্তিতে আগের সব পরীক্ষায় যত মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মেছে জানা গেছে তা বাস্তবে বেশি।
সূত্র- বিবিসি
এমডি/এমএইচ/বাংলাবার্তা