করোনা উপসর্গ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১২ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক


দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাসহ দু’জন, টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা, ফরিদপুরে দুই ব্যক্তি, বরিশালে এক ব্যক্তি, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে যুবক, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বৃদ্ধ, নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় রিকশাচালক, কুমিল্লায় শ্রমিক, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নারী ও রাজবাড়ীর পাংশায় এক ব্যক্তি রয়েছেন।

চট্টগ্রাম : সোমবার বিকাল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়। আর রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক যুবকের।


সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। আর মেডিকেলে যিনি মারা গেছেন তার কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ নিউমোনিয়ার উপসর্গ ছিল। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইল : গোপালপুর আওয়ামী লীগের এক নেতা করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সোমবার মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে বিশেষ ব্যবস্থায় লাশ দাফন করা হয়েছে। তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলীম আল রাজী জানান, ওই ব্যক্তি হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।


ফরিদপুর ও ভাঙ্গা : ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া এক ব্যক্তি আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে মারা গেছেন।
বরিশাল : শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তির ২০ মিনিটের মধ্যে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকালে জ্বর, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন ওই রোগী এবং সাড়ে ৫টায় করোনা ইউনিটেই তার মৃত্যু হয়।
বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) : সোমবার বন্দরের মদনপুরে ঠাণ্ডাজ্বর ও ডায়রিয়ায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়।

হবিগঞ্জ ও চুনারুঘাট : চুনারুঘাট উপজেলার পানছড়ি এলাকায় সোমবার সকালে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার জনগণের চলাচল সীমিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : কেন্দুয়া পৌর এলাকায় সোমবার সাকালে এক রিকশাচালক মারা গেছেন। এ ঘটনায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ওই রিকশাচালকের নমুনা সংগ্রহ করেছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাড়ির লোকজনকে বাইরে বের না হওয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লা : কুমিল্লায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। টানা ৮ দিন জ্বর-কাশি-শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত থাকার পর সোমবার জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুরে তার মৃত্যু হয়। তিনি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বাসিন্দা।


কাপাসিয়া (গাজীপুর) : কাপাসিয়ায় সোমবার সকালে শ্বাসকষ্টে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুস সালাম সরকার জানান, ওই নারী পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।
রাজবাড়ী : পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নে করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পাংশার পুরো সেনগ্রাম লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুয়ারা বেগম সুমী বলেন, ওই ব্যক্তি ঢাকার নবীনগরে বাসের ড্রাইভার ছিলেন। ১০ দিন আগে তিনি তার গ্রামের বাড়ি আসেন। এরপর থেকেই তিনি জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তিনি বিষয়টি না জানিয়ে বাড়িতেই পালিয়ে ছিলেন। সোমবার সকালে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।


এমএম/এমএইচ/ বাংলাবার্তা