আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকের দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে ৮০ মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে ইরাকে মার্কিনিদের এরবিল ও আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জুড়ে নিহতের খবরটি জানানো হয়। খবরে বলা হয়, ইরাকে মার্কিনিদের আরবিল ও আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৮০ ‘মার্কিন সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ব্যাপকভাবে মার্কিন হেলিকপ্টার ও সামরিক সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইরানী প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরও জানায়, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র যদি পাল্টা হামলা চালায়, তবে তার জবাবে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে মার্কিনিদের আরও ১০০টি লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিন এক টুইট বার্তায় হাসান রুহানির উপদেষ্টা হেসামউদ্দিন আশেনা যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো সামরিক পদক্ষেপে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধ দিয়ে মোকাবেলা করা হবে।’
আরেক টুইট বার্তায় ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে জেনারেল কাসেম সোলেমানি হত্যার যথাযথ বদলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইরান এর জবাবে মার্কিন কোন হামলা প্রত্যাশা করে না। ইরান যুদ্ধ চায় না বলে জানান তিনি। কিন্তু কোনো আগ্রাসন চালানো হলে প্রতিরোধ করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন জাভেদ জারিফ।