আন্তর্জাতিক বার্তাঃ
ইরানের মিসাইল হামলায় অন্তত ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত এবং আরও ২০০ জন আহত হয়েছেন বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে দাবি করা হয়েছে। এই দুই ঘাঁটি ছাড়াও আমেরিকার আরো অন্তত ১০০টি স্থাপনা টার্গেট করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোররাতে ইরাকে দুটি মার্কিন সেনাঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি মিসাইল ছোড়ে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হামলার শিকার হওয়ার কথা জানানো হলেও হতাহতের বিষয়ে অফিসিয়ালি কিছুই বলা হয়নি।
এদিকে ইরানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ এক কর্মকর্তার বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন দুই সেনাঘাঁটিতে ১৫টি মিসাইল ছোড়া হয়েছে। এতে ৮০ জন ‘আমেরিকান সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন।
খবরে আরো দাবি করা হয়েছে, ওই হামলায় আমেরিকার বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার গানশিপ ধ্বংস হয়েছে এবং যুদ্ধ সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে মার্কিন সামরিক সূত্রের বরাতে সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, হামলার আগাম সতর্কবার্তা পেয়েছিলেন ঘাঁটি দুটিতে অবস্থান করা মার্কিন সেনারা। আর তাই সময়মতো নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে সক্ষম হয়েছিলেন তারা। ফলে হতাহতের তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বুধবার ভোরে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে অন্তত এক ডজন মিসাইল হামলা চালায় ইরান। ইরানের ভূমি থেকে ইসলামী রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্যরা মিসাইলগুলো ছোড়ে বলে ফার্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আনবারের ‘আইন আল আসাদ’ মার্কিন সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত দশটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরই ইরবিলে দ্বিতীয় হামলার খবর দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তেহরান হুঁশিয়ার করে বলে, মার্কিন বাহিনী পাল্টা হামলা চালালে কঠোর জবাব দেয়া হবে। এরপরই ইরাকে দুটি সেনাঘাঁটি আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। খুব শিগগিরই হামলার বিষয়ে ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নেয়া হবে বলেও জানায় যুক্তরাষ্ট্র। ইরানি হামলার পরই জরুরি বৈঠকে বসে হোয়াইট হাউস। সেইসঙ্গে ইরাক, ইরান এবং পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।
গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন হামলায় ইরানি সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর, তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়।